আমাদের প্রশ্ন জাগতেই পারে যে পুরুষেরা যেহেতু জান্নাতে নারী হুর পাবে তাহলে নারীরা জান্নাতে গেলে কি পাবে।??
আল্লাহ পাক আল কুরআনে এরশাদ করেন ,
যে লোক পুরুষ হোক কিংবা নারী, কোন সৎকর্ম করে এবং বিশ্বাসী হয়, তবে তারা জান্নাতে প্রবেশ করবে এবং তাদের প্রাপ্য তিল পরিমাণ ও নষ্ট হবে না। [সুরা নিসা: ১২৪]
এবার প্রশ্নঃ
আল্লাহ পুরুষ দের কে ডাগর আঁখি বিশিষ্ট হুর , এবং অপরুপা নারী এর কথা বলে জান্নাতের প্রতি অনুপ্রাণিত এবং আগ্রহি করেছেন কিন্তু নারীদেরকে এরকম প্রলুব্ধকর কিছুই বলেন নি কেন ???
জবাবঃ
প্রথম ব্যাপার , আল্লাহ পাক বলেন ,
তিনি যা করেন, তৎসম্পর্কে তিনি জিজ্ঞাসিত হবেন না বরং তাদেরকে জিজ্ঞেস করা হবে। [সুরা আম্বিয়া: ২৩]
তবে শরীয়তের সুনির্দিষ্ট কথাই ইসলামের মূলনীতি অনুসারে হিকমত অনুধাবনের মানসিকতা থাকা কোন দোষের ব্যাপার নয় ।
দ্বিতীয় ব্যাপারঃ
নারীদের কে পুরুষ হুর এর কথা উল্লেখ করলে নারীরা নিজেই আল কুরআনে এই লেখা পড়ে লজ্জিত হতো ।
তৃতীয় দিকঃ
নারীরা যেহেতু একই স্থান, কাল ও পাত্রে একটি মাত্র সন্তান জন্ম দিতে পারে এবং পুরুষ যেহেতু একাধিক জন্ম দেয়ার ক্ষমতা রাখে সেহেতু পুরুষকেই সাধারণত বহুগামী হতে দেখা যায়।
আর নারীর প্রতি নরের যেই আকর্ষণ , নরের প্রতি নারীর আকর্ষণ ঠিক তেমনটি নয় । যার কারনে আল্লাহ জান্নাতে নারীর কথা বলে নরকে আগ্রহী করেছেন , কিন্তু নারীর ক্ষেত্রে নীরবতা পালন করেছেন।
সর্বশেষ ব্যাপারঃ
আল্লাহ পাক স্ত্রীদের কথা উল্লেখ করেছেন স্বামীদের জন্য , কারন স্বামী ই হোল স্ত্রি এর প্রতি মোহিত এবং তার কামনাকারী ।এজন্যই জান্নাতে নারীর কথা বলে পুরুশদের আগ্রহী করা হয়েছে কিন্তু নারীদের ব্যাপারে নীরব থাকা হয়েছে। কিন্তু এর মানে এই নয় যে তাদের স্বামী থাকবে না বরং তাদেরও স্বামী থাকবে আদম সন্তানদের মধ্য থেকে।
এবার প্রশ্নঃ যে নারী বিয়ের আগেই মারা গেছেন জান্নাতে তার কি হবে? তাকে কার সাথে বিয়ে দেওয়া হবে?
জবাবঃ যে মহিলার বিয়ে হয়নি, তাহলে তার জন্য অনুমতি আছে, সে ইচ্ছে করলে জান্নাতী কোন অবিবাহিত পুরুষকে বিয়ে করতে পারবে। আর না চাইলে পুরুষ হুর আল্লাহ তাআলা সৃষ্টি করে তার সাথে বিয়ে করিয়ে দিবেন। ।
আবু হুরায়রা (রা) হতে বর্ণিত
‘কেয়ামতের দিন যে দলটি প্রথম জন্নাতে প্রবেশ করবে,তাদের চেহারা হবে পূর্ণিমার চাঁদের মত উজ্জ্বল; আর তৎপরবর্তী দলের চেহারা হবে আসমানে মুক্তার ন্যায় ঝলমলে নক্ষত্রের মতো উজ্জ্বল। তাদের প্রত্যেকের থাকবে দু’জন করে স্ত্রী যাদের গোশতের ওপর দিয়েই তাদের পায়ের গোছার ভেতরস্থ মজ্জা দেখা যাবে। আর জান্নাতে কোনো অবিবাহিত থাকবে না।’ [মুসলিম : ৭৩২৫]
২য় প্রশ্নঃ কোন নারীর স্বামী যদি জাহান্নামী হয় তাহলে সে নারীর কি জান্নাতী‘হুর (পুরুষ)’ থাকবে??? তার স্বামী যদি কোন সময় জাহান্নাম থেকে
মুক্তি পেয়ে জান্নাতি হয় তাহলে সে কি তার দুনিয়ার স্ত্রীর সাথে মিলিত
হবে?
জবাবঃ
জাহান্নাম থেকে মুক্তির পর স্বামীর সাথে মিলিত হবে জান্নাতী স্ত্রী। আর যদি স্বামী চিরস্থায়ী জাহান্নামী হয়, তাহলে তার এখতিয়ার থাকবে, সে ইচ্ছে করলে অবিবাহিত জান্নাতী পুরুষও বিয়ে করতে পারে, অথবা পুরুষ হুরও বিয়ে করতে পারে।
সর্বশেষ বোনদের জন্য আমার কিছু কথাঃ
আপনি জান্নাতে হুর পাবেন নাকি পাবেন না তা কিন্তু খুব জটিল কোন বিষয় না কারন আল কুরআন এবং হাদিসে বার বার বলা আছে যে সেখানে আপনি যা চাইবেন তাই পাবেন ।
মনে রাখুন " যা চাইবেন তাই "
রাসূলুল্লাহ(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: আল্লাহ বলেন: আমি আমার নেক বান্দাদের জন্য এমন (নেয়ামতসমূহ) বানিয়ে রেখেছি যা কোন চোখ দেখে নাই এবং কোন কান শুনে নাই এবং কোন মানুষের অন্তরে যার চিন্তাও আসে নাই।
বুখারি শরিফ: ভলি:৯, বুক: ৯৩, নম্বর: ৫৮৯
মুসলিম শরিফ: বুক: ৪০, চ্যাপ্টার: ১, নম্বর ৬৭৮০, ৬৭৮১, ৬৭৮২, ৬৭৮৩
কেউ জানে না তাদের কৃতকর্মের জন্য কী কী চক্ষু-তৃপ্তিদায়ক প্রতিদান লুকায়িত আছে।[৩২:১৭]
তারা চিরকাল বসবাসরত অবস্থায় সেখানে যা চাইবে, তাই পাবে। [২৫:১৬]
আর যারা মুমিন ও সৎকর্মী, তারা জান্নাতের উদ্যানে থাকবে। তারা যা চাইবে, তাই তাদের জন্যে তাদের পালনকর্তার কাছে রয়েছে। এটাই বড় পুরস্কার। [৪২:২২]
https://www.facebook.com/Allahr.Pothe.Mujahid/posts/493880017344312
আল্লাহ পাক আল কুরআনে এরশাদ করেন ,
যে লোক পুরুষ হোক কিংবা নারী, কোন সৎকর্ম করে এবং বিশ্বাসী হয়, তবে তারা জান্নাতে প্রবেশ করবে এবং তাদের প্রাপ্য তিল পরিমাণ ও নষ্ট হবে না। [সুরা নিসা: ১২৪]
এবার প্রশ্নঃ
আল্লাহ পুরুষ দের কে ডাগর আঁখি বিশিষ্ট হুর , এবং অপরুপা নারী এর কথা বলে জান্নাতের প্রতি অনুপ্রাণিত এবং আগ্রহি করেছেন কিন্তু নারীদেরকে এরকম প্রলুব্ধকর কিছুই বলেন নি কেন ???
জবাবঃ
প্রথম ব্যাপার , আল্লাহ পাক বলেন ,
তিনি যা করেন, তৎসম্পর্কে তিনি জিজ্ঞাসিত হবেন না বরং তাদেরকে জিজ্ঞেস করা হবে। [সুরা আম্বিয়া: ২৩]
তবে শরীয়তের সুনির্দিষ্ট কথাই ইসলামের মূলনীতি অনুসারে হিকমত অনুধাবনের মানসিকতা থাকা কোন দোষের ব্যাপার নয় ।
দ্বিতীয় ব্যাপারঃ
নারীদের কে পুরুষ হুর এর কথা উল্লেখ করলে নারীরা নিজেই আল কুরআনে এই লেখা পড়ে লজ্জিত হতো ।
তৃতীয় দিকঃ
নারীরা যেহেতু একই স্থান, কাল ও পাত্রে একটি মাত্র সন্তান জন্ম দিতে পারে এবং পুরুষ যেহেতু একাধিক জন্ম দেয়ার ক্ষমতা রাখে সেহেতু পুরুষকেই সাধারণত বহুগামী হতে দেখা যায়।
আর নারীর প্রতি নরের যেই আকর্ষণ , নরের প্রতি নারীর আকর্ষণ ঠিক তেমনটি নয় । যার কারনে আল্লাহ জান্নাতে নারীর কথা বলে নরকে আগ্রহী করেছেন , কিন্তু নারীর ক্ষেত্রে নীরবতা পালন করেছেন।
সর্বশেষ ব্যাপারঃ
আল্লাহ পাক স্ত্রীদের কথা উল্লেখ করেছেন স্বামীদের জন্য , কারন স্বামী ই হোল স্ত্রি এর প্রতি মোহিত এবং তার কামনাকারী ।এজন্যই জান্নাতে নারীর কথা বলে পুরুশদের আগ্রহী করা হয়েছে কিন্তু নারীদের ব্যাপারে নীরব থাকা হয়েছে। কিন্তু এর মানে এই নয় যে তাদের স্বামী থাকবে না বরং তাদেরও স্বামী থাকবে আদম সন্তানদের মধ্য থেকে।
এবার প্রশ্নঃ যে নারী বিয়ের আগেই মারা গেছেন জান্নাতে তার কি হবে? তাকে কার সাথে বিয়ে দেওয়া হবে?
জবাবঃ যে মহিলার বিয়ে হয়নি, তাহলে তার জন্য অনুমতি আছে, সে ইচ্ছে করলে জান্নাতী কোন অবিবাহিত পুরুষকে বিয়ে করতে পারবে। আর না চাইলে পুরুষ হুর আল্লাহ তাআলা সৃষ্টি করে তার সাথে বিয়ে করিয়ে দিবেন। ।
আবু হুরায়রা (রা) হতে বর্ণিত
‘কেয়ামতের দিন যে দলটি প্রথম জন্নাতে প্রবেশ করবে,তাদের চেহারা হবে পূর্ণিমার চাঁদের মত উজ্জ্বল; আর তৎপরবর্তী দলের চেহারা হবে আসমানে মুক্তার ন্যায় ঝলমলে নক্ষত্রের মতো উজ্জ্বল। তাদের প্রত্যেকের থাকবে দু’জন করে স্ত্রী যাদের গোশতের ওপর দিয়েই তাদের পায়ের গোছার ভেতরস্থ মজ্জা দেখা যাবে। আর জান্নাতে কোনো অবিবাহিত থাকবে না।’ [মুসলিম : ৭৩২৫]
২য় প্রশ্নঃ কোন নারীর স্বামী যদি জাহান্নামী হয় তাহলে সে নারীর কি জান্নাতী‘হুর (পুরুষ)’ থাকবে??? তার স্বামী যদি কোন সময় জাহান্নাম থেকে
মুক্তি পেয়ে জান্নাতি হয় তাহলে সে কি তার দুনিয়ার স্ত্রীর সাথে মিলিত
হবে?
জবাবঃ
জাহান্নাম থেকে মুক্তির পর স্বামীর সাথে মিলিত হবে জান্নাতী স্ত্রী। আর যদি স্বামী চিরস্থায়ী জাহান্নামী হয়, তাহলে তার এখতিয়ার থাকবে, সে ইচ্ছে করলে অবিবাহিত জান্নাতী পুরুষও বিয়ে করতে পারে, অথবা পুরুষ হুরও বিয়ে করতে পারে।
সর্বশেষ বোনদের জন্য আমার কিছু কথাঃ
আপনি জান্নাতে হুর পাবেন নাকি পাবেন না তা কিন্তু খুব জটিল কোন বিষয় না কারন আল কুরআন এবং হাদিসে বার বার বলা আছে যে সেখানে আপনি যা চাইবেন তাই পাবেন ।
মনে রাখুন " যা চাইবেন তাই "
রাসূলুল্লাহ(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: আল্লাহ বলেন: আমি আমার নেক বান্দাদের জন্য এমন (নেয়ামতসমূহ) বানিয়ে রেখেছি যা কোন চোখ দেখে নাই এবং কোন কান শুনে নাই এবং কোন মানুষের অন্তরে যার চিন্তাও আসে নাই।
বুখারি শরিফ: ভলি:৯, বুক: ৯৩, নম্বর: ৫৮৯
মুসলিম শরিফ: বুক: ৪০, চ্যাপ্টার: ১, নম্বর ৬৭৮০, ৬৭৮১, ৬৭৮২, ৬৭৮৩
কেউ জানে না তাদের কৃতকর্মের জন্য কী কী চক্ষু-তৃপ্তিদায়ক প্রতিদান লুকায়িত আছে।[৩২:১৭]
তারা চিরকাল বসবাসরত অবস্থায় সেখানে যা চাইবে, তাই পাবে। [২৫:১৬]
আর যারা মুমিন ও সৎকর্মী, তারা জান্নাতের উদ্যানে থাকবে। তারা যা চাইবে, তাই তাদের জন্যে তাদের পালনকর্তার কাছে রয়েছে। এটাই বড় পুরস্কার। [৪২:২২]
https://www.facebook.com/Allahr.Pothe.Mujahid/posts/493880017344312
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন