সত্যানুসন্ধানী সুমন wrote a new note: বাউল দর্শনঃ একটি স্বতন্ত্র ধর্ম.
বাউল গুরু ও তাদের অনুসারীদের নাম দেখে অনেকেই হয়ত মনে করেন তারা মুসলিম (বা হিন্দু)।আসলে কিন্তু তা নয়।বাউল দর্শন একটি আলাদা ধর্ম।
আসলে বাউল দর্শন হচ্ছে বৈষ্ণবধর্ম ও সুফীবাদের জগাখিচুরি।
বাউল শব্দটির উৎপত্তি নিয়ে মতান্তর রয়েছে। কেউ বলেন ‘বাতুল’ থেকে ‘বাউল’ হয়েছে, কারো মতে ‘বজ্রী’ থেকে কিংবা ‘বজ্রকুল’ থেকে বাউল শব্দটি এসেছে। কেউ কেউ বলেন ‘আউল’ শব্দ থেকে ‘বাউল হয়েছে। ইতিহাসবিদদের মতে, সতেরো শতকে বাংলাদেশে বাউল মতের উদ্ভব হয়। এ মতের প্রবর্তক হলেন আউল চাঁদ ও মাধববিবি। বীরভদ্র নামে এক বৈষ্ণব মহাজন সেই সময়ে একে জনপ্রিয় করে তোলেন।
বাউলদর্শনের মুল ভিত্তি হচ্ছে দেহতত্ত্ব। দেহকে বাউলগণ পরম সম্পদ বলে মনে করেন। তাদের সাধনার মূল হল এই মানব দেহ। তাদের মতে মানব দেহের মধ্যেই আল্লাহ বা ভগবান বিরাজমান। মানব দেহকে আশ্রয় করে সাধন-ভজন করে মনের মানুষকে উপলব্ধি করাই তাদের আধ্যাত্মিক লক্ষ্য। বাউলরা মনে করেন বিশ্ব স্রষ্টা যা কিছু সৃষ্টি করেছেন তার সমসত্মই এই মানব দেহে বিদ্যমান আছে। সুতরাং তাদের মতানুসারে ঈশ্বরকে খোঁজার জন্য দেহের বাইরে যাওয়ার কোন প্রয়োজন নেই।
বাউল সাধকদের সবচেয়ে বেশি আলোচিত হচ্ছেন লালন সাঁই। লালন তার বিপুল সংখ্যক গানের মাধ্যমে বাউল মতের দর্শন এবং অসাম্প্রদায়িকতার প্রচার করেছিলেন। এছাড়াও বাউল কবিদের মধ্যে জালাল খাঁ, রশিদ উদ্দিন, হাছন রাজা, রাধারমণ, সিরাজ সাঁই, পাঞ্জু সাঁই, পাগলা কানাই, শীতলং সাঁই, দ্বিজদাস, হরিচরণ আচার্য, মনোমোহন দত্ত, লাল মাসুদ, সুলা গাইন, বিজয় নারায়ণ আচার্য, দীন শরৎ (শরৎচন্দ্র নাথ), রামু মালি, রামগতি শীল, মুকুন্দ দাস, আরকুন শাহ্, সিতালং ফকির, সৈয়দ শাহ্ নূর, শাহ আব্দুল করিম, উকিল মুন্সি, চান খাঁ পাঠান, তৈয়ব আলী, মিরাজ আলী, দুলু খাঁ, আবেদ আলী, উমেদ আলী, আবদুল মজিদ তালুকদার, আবদুস সাত্তার, খেলু মিয়া, ইদ্রিস মিয়া, আলী হোসেন সরকার, চান মিয়া, জামসেদ উদ্দিন, গুল মাহমুদ, প্রভাত সূত্রধর, আবদুল হেকিম সরকার, ক্বারী আমির উদ্দিন, শেখ মদন, দুদ্দু সাঁই,কবি জয়দেব, কবিয়াল বিজয়সরকার, ভবা পাগলা, নীলকণ্ঠ, দ্বিজ মহিন, পূর্ণদাস বাউল, খোরশেদ মিয়া, মিরাজ উদ্দিন পাঠান, আব্দুল হাকিম, মহিলা কবি আনোয়ারা বেগম ইত্যাদির নাম উল্লেখযোগ্য।
বাউলরা যে হিন্দু বা মুসলিম নয় তা লালন তার গানে বলে গেছেনঃ
সব লোকে কয় লালন কি জাত সংসারে।
লালন বলে জাতের কি রূপ
দেখলাম না এই নজরে।।
কেউ মালায় কেউ তসবি গলায়,
তাইতে যে জাত ভিন্ন বলায়।
যাওয়া কিম্বা আসার বেলায়,
জাতের চিহ্ন রয় কার রে।।
যদি ছুন্নত দিলে হয় মুসলমান,
নারীর তবে কি হয় বিধান?
বামন চিনি পৈতা প্রমাণ,
বামনী চিনি কিসে রে........
বাউল সাধনা খুবই নোংরা ও অসামাজিক। যৌনাচার এই সাধনার অপরিহার্য অঙ্গ। ড. আহমদ শরীফের ভাষায় কামাচার বা মিথুনাত্বক যোগসাধনাই বাউল পদ্ধতি। বাউল সাধনায় পরকীয়া প্রেম এবং গাঁজা সেবন প্রচলিত। বাউলরা বিশ্বাস করে যে, কুমারী মেয়ের রজঃপান করলে শরীরে রোগ প্রতিরোধক তৈরী হয়। তাই বাউলদের মধ্যে রজঃপান একটি সাধারন ঘটনা। এছাড়া, তারা রোগমুক্তির জন্য স্বীয় মুত্র ও স্তনদুগ্ধ পান করে। সর্বরোগ থেকে মুক্তির জন্য তারা মল, মুত্র, রজঃ ও বীর্য মিশ্রণে প্রেমভাজা নামক একপ্রকার পদার্থ তৈরি করে তা ভক্ষণ করে। একজন বাউলের একাধিক সেবাদাসী থাকে। এদের অধিকাংশই কমবয়সী মেয়ে। (বা.বা পৃ ৩৫০, ৩৮২)
#নাস্তিকরা নিজেদের বিজ্ঞানমনস্ক পরিচয় দিলেও এইরকম নোংরা মতবাদকে প্রমোট করে থাকে।আসলে এটি মানুষকে ধর্ম থেকে দূরে সরানোর একটি ভয়ংকর কৌশল।অধিকাংশ বাউল সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাস করে, কিন্তু সৃষ্টিকর্তা সম্পর্কে তাদের ধারণা অস্পষ্ট। আবার নাস্তিকরা সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্বে বিশ্বাসী নয়।কিন্তু একটি জায়গায় উভয়ের দারুন মিল।তা হল- ধর্মীয় আচার ও আনুষ্টানিকতার ঘোর বিরোধী তারা। যেহেতু আমাদের দেশের মুসলিম প্রকৃত ইসলাম সম্পর্কে অজ্ঞ তাই নাস্তিকরা এই মতবাদকে প্রমোট করে প্রথমে আল্লাহ তায়ালা সম্পর্কে সংশয়ে ফেলে, অতঃপর ধীরে ধীরে ধর্মকর্ম থেকে দুরে সরায়।আর একটি বিষয় হলো এই মতবাদ দ্বারা তাদের কাঙ্ক্ষিত ফ্রি সেক্সের বিজ্ঞাপন করা যায়।
এই চক্রান্ত থেকে মুসলিমদের রক্ষা করার জন্য কুরআন ও সহীহ হাদীছের অধিক ও প্রচার ও আল্লাহর নিকট অধিক সাহায্য চাওয়ার বিকল্প নেই।আসুন সবাই নাস্তিক ও বাউলদের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলি।
আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাইকে ঈমানের উপর দৃঢ় রাখুন।আমীন।
(শেয়ার ও কপি করা যাবে)
বাউল গুরু ও তাদের অনুসারীদের নাম দেখে অনেকেই হয়ত মনে করেন তারা মুসলিম (বা হিন্দু)।আসলে কিন্তু তা নয়।বাউল দর্শন একটি আলাদা ধর্ম।
আসলে বাউল দর্শন হচ্ছে বৈষ্ণবধর্ম ও সুফীবাদের জগাখিচুরি।
বাউল শব্দটির উৎপত্তি নিয়ে মতান্তর রয়েছে। কেউ বলেন ‘বাতুল’ থেকে ‘বাউল’ হয়েছে, কারো মতে ‘বজ্রী’ থেকে কিংবা ‘বজ্রকুল’ থেকে বাউল শব্দটি এসেছে। কেউ কেউ বলেন ‘আউল’ শব্দ থেকে ‘বাউল হয়েছে। ইতিহাসবিদদের মতে, সতেরো শতকে বাংলাদেশে বাউল মতের উদ্ভব হয়। এ মতের প্রবর্তক হলেন আউল চাঁদ ও মাধববিবি। বীরভদ্র নামে এক বৈষ্ণব মহাজন সেই সময়ে একে জনপ্রিয় করে তোলেন।
বাউলদর্শনের মুল ভিত্তি হচ্ছে দেহতত্ত্ব। দেহকে বাউলগণ পরম সম্পদ বলে মনে করেন। তাদের সাধনার মূল হল এই মানব দেহ। তাদের মতে মানব দেহের মধ্যেই আল্লাহ বা ভগবান বিরাজমান। মানব দেহকে আশ্রয় করে সাধন-ভজন করে মনের মানুষকে উপলব্ধি করাই তাদের আধ্যাত্মিক লক্ষ্য। বাউলরা মনে করেন বিশ্ব স্রষ্টা যা কিছু সৃষ্টি করেছেন তার সমসত্মই এই মানব দেহে বিদ্যমান আছে। সুতরাং তাদের মতানুসারে ঈশ্বরকে খোঁজার জন্য দেহের বাইরে যাওয়ার কোন প্রয়োজন নেই।
বাউল সাধকদের সবচেয়ে বেশি আলোচিত হচ্ছেন লালন সাঁই। লালন তার বিপুল সংখ্যক গানের মাধ্যমে বাউল মতের দর্শন এবং অসাম্প্রদায়িকতার প্রচার করেছিলেন। এছাড়াও বাউল কবিদের মধ্যে জালাল খাঁ, রশিদ উদ্দিন, হাছন রাজা, রাধারমণ, সিরাজ সাঁই, পাঞ্জু সাঁই, পাগলা কানাই, শীতলং সাঁই, দ্বিজদাস, হরিচরণ আচার্য, মনোমোহন দত্ত, লাল মাসুদ, সুলা গাইন, বিজয় নারায়ণ আচার্য, দীন শরৎ (শরৎচন্দ্র নাথ), রামু মালি, রামগতি শীল, মুকুন্দ দাস, আরকুন শাহ্, সিতালং ফকির, সৈয়দ শাহ্ নূর, শাহ আব্দুল করিম, উকিল মুন্সি, চান খাঁ পাঠান, তৈয়ব আলী, মিরাজ আলী, দুলু খাঁ, আবেদ আলী, উমেদ আলী, আবদুল মজিদ তালুকদার, আবদুস সাত্তার, খেলু মিয়া, ইদ্রিস মিয়া, আলী হোসেন সরকার, চান মিয়া, জামসেদ উদ্দিন, গুল মাহমুদ, প্রভাত সূত্রধর, আবদুল হেকিম সরকার, ক্বারী আমির উদ্দিন, শেখ মদন, দুদ্দু সাঁই,কবি জয়দেব, কবিয়াল বিজয়সরকার, ভবা পাগলা, নীলকণ্ঠ, দ্বিজ মহিন, পূর্ণদাস বাউল, খোরশেদ মিয়া, মিরাজ উদ্দিন পাঠান, আব্দুল হাকিম, মহিলা কবি আনোয়ারা বেগম ইত্যাদির নাম উল্লেখযোগ্য।
বাউলরা যে হিন্দু বা মুসলিম নয় তা লালন তার গানে বলে গেছেনঃ
সব লোকে কয় লালন কি জাত সংসারে।
লালন বলে জাতের কি রূপ
দেখলাম না এই নজরে।।
কেউ মালায় কেউ তসবি গলায়,
তাইতে যে জাত ভিন্ন বলায়।
যাওয়া কিম্বা আসার বেলায়,
জাতের চিহ্ন রয় কার রে।।
যদি ছুন্নত দিলে হয় মুসলমান,
নারীর তবে কি হয় বিধান?
বামন চিনি পৈতা প্রমাণ,
বামনী চিনি কিসে রে........
বাউল সাধনা খুবই নোংরা ও অসামাজিক। যৌনাচার এই সাধনার অপরিহার্য অঙ্গ। ড. আহমদ শরীফের ভাষায় কামাচার বা মিথুনাত্বক যোগসাধনাই বাউল পদ্ধতি। বাউল সাধনায় পরকীয়া প্রেম এবং গাঁজা সেবন প্রচলিত। বাউলরা বিশ্বাস করে যে, কুমারী মেয়ের রজঃপান করলে শরীরে রোগ প্রতিরোধক তৈরী হয়। তাই বাউলদের মধ্যে রজঃপান একটি সাধারন ঘটনা। এছাড়া, তারা রোগমুক্তির জন্য স্বীয় মুত্র ও স্তনদুগ্ধ পান করে। সর্বরোগ থেকে মুক্তির জন্য তারা মল, মুত্র, রজঃ ও বীর্য মিশ্রণে প্রেমভাজা নামক একপ্রকার পদার্থ তৈরি করে তা ভক্ষণ করে। একজন বাউলের একাধিক সেবাদাসী থাকে। এদের অধিকাংশই কমবয়সী মেয়ে। (বা.বা পৃ ৩৫০, ৩৮২)
#নাস্তিকরা নিজেদের বিজ্ঞানমনস্ক পরিচয় দিলেও এইরকম নোংরা মতবাদকে প্রমোট করে থাকে।আসলে এটি মানুষকে ধর্ম থেকে দূরে সরানোর একটি ভয়ংকর কৌশল।অধিকাংশ বাউল সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাস করে, কিন্তু সৃষ্টিকর্তা সম্পর্কে তাদের ধারণা অস্পষ্ট। আবার নাস্তিকরা সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্বে বিশ্বাসী নয়।কিন্তু একটি জায়গায় উভয়ের দারুন মিল।তা হল- ধর্মীয় আচার ও আনুষ্টানিকতার ঘোর বিরোধী তারা। যেহেতু আমাদের দেশের মুসলিম প্রকৃত ইসলাম সম্পর্কে অজ্ঞ তাই নাস্তিকরা এই মতবাদকে প্রমোট করে প্রথমে আল্লাহ তায়ালা সম্পর্কে সংশয়ে ফেলে, অতঃপর ধীরে ধীরে ধর্মকর্ম থেকে দুরে সরায়।আর একটি বিষয় হলো এই মতবাদ দ্বারা তাদের কাঙ্ক্ষিত ফ্রি সেক্সের বিজ্ঞাপন করা যায়।
এই চক্রান্ত থেকে মুসলিমদের রক্ষা করার জন্য কুরআন ও সহীহ হাদীছের অধিক ও প্রচার ও আল্লাহর নিকট অধিক সাহায্য চাওয়ার বিকল্প নেই।আসুন সবাই নাস্তিক ও বাউলদের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলি।
আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাইকে ঈমানের উপর দৃঢ় রাখুন।আমীন।
(শেয়ার ও কপি করা যাবে)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন