শুক্রবার, ৯ অক্টোবর, ২০১৫

শিয়া মনিষীগনের কথা কথিত আলে হাদিসরা অন্ধের মত মানেন

একটা জিনিষ আমি আশ্চর্য্য হয়ে লক্ষ্য করলাম, যে, শিয়াদের অনেক অসত্য ও বিকৃত রেফারেন্স ও শিয়া মনিষীগনের কথা কথিত আলে হাদিসরা অন্ধের মত মানেন, অথচ সবসময় তারা শিয়াদের গালিগালাজ করেন! https://goo.gl/LPC02u
এবং শিয়াদের মত তারাও আমেরিকি/ইংল্যন্ডের প্রতি লোক দেখানো গালিগালাজ করলেও শেষ পর্যন্ত আনুগত্য প্রকাশ ও মুল ধারার মুসলমানদের মুসরিক/কাফের মনে করেন!
শিয়ারা যেমন ইসলামের দাওয়াত না দিয়ে দাওয়াতদেন তাদের মতবাদের তেমনি আলে হাদিসরাও বহু দলে বিভক্ত “আহলে হাদিস” ওরফে ওহাবী/নজদী মতবাদের(শিংয়ের) দাওয়াত দেন পিস টিভিতে।
সিরিয়ার রেফুজীদের নিয়ে বিশ্ববাসী কাদঁলো কিন্তু তারা রহস্যজনক ভাবে (পিস টিভি গং) মিডলইষ্ট দেশগুলোর মত না দেখার ভান করে রইলো।।





এই সব রহ্যস্যের মূল জানতে হলে পড়ুন: https://www.facebook.com/photo.php?fbid=1479708615675070&set=gm.516951458463029&type=3

পৃথিবীর অর্ধেক সম্পদের মালিক

পৃথিবীর সবচেয়ে ক্ষমতাধর ইহুদী পরিবার(পৃথিবীর অর্ধেক সম্পদের মালিক - The Rothschild family has a net worth of $700 trillion)

সারা বিশ্বকে নিয়ন্ত্রণ করে একটি পরিবার- রথ চাইল্ড ফ্যামিলি। মেয়ার আমসেল রথ চাইল্ড নামের ইহুদী ও তাঁর পাঁচ ছেলে মিলে এই পরিবার প্রতিষ্ঠা করেন। আমেরিকান ডলার থেকে শুরু করে ব্রিটিশ পাউন্ড-নোট ছাপানো, বিতরণ, বিলি সব কিছুর নিয়ন্ত্রণ এই পরিবারের হাতেই রয়েছে। এই পরিবারই ১৭৬০ সালে বিশ্বের প্রথম আধুনিক ব্যঙ্কিং ব্যবস্থার প্রবর্তন করে। দুনিয়ার সকল ব্যাংক এই রথ চাইল্ড ব্যাংকের কাছে নির্ভরশীল। কারণ, পৃথিবীর রিজার্ভ স্বর্ণের বেশিরভাগ দখল তাঁদের হাতে। এই জন্য রথ চাইল্ড ব্যাংককে বলা হয় “ব্যাংক অফ দ্য ব্যাংকস, দ্য গভর্নমেন্ট অভ দ্য গভর্নমেন্টস।”

শুরুতে এঁদের কাজ ছিল বিভিন্ন রাজকীয় পরিবারের সাথে ঋণ ব্যবসা গড়ে তোলা। তাঁরা এতো বেশি প্রভাবশালী ও ক্ষমতাবান ছিল যে, ষড়যন্ত্র করে দুই দেশের রাজার মধ্যে যুদ্ধ লাগিয়ে দিত। এরপর দুই রাজাকেই উচ্চ সুদে ঋণ দিত যুদ্ধের খরচ মেটানোর জন্য। যে দেশই জিততো না কেন, লাভের ভাগ রথচাইল্ডের হাতেই যেত। যেমন নাথান রথচাইল্ড ১৮১১ সালে ফ্রান্সের নেপোলিয়নের সাথে ইংল্যান্ডের রাজার যুদ্ধ বাঁধিয়ে দিয়েছিল, যেটা বিখ্যাত ওয়াটার লু যুদ্ধ নামে পরিচিত। সেসময় যুদ্ধের কারণে ইংল্যান্ড ও ফ্রান্সের মধ্যে কোন জাহাজই চলাচল করতে পারতো না। কিন্তু দেখা যেত একটি জাহাজ ঠিকই ফ্রান্স থেকে ইংল্যান্ড কিংবা ইংল্যান্ড থেকে ফ্রান্সে বাধাহীনভাবে যাচ্ছে। সেটাই ছিল এই রথ চাইল্ড পরিবারের ব্যবসায়িক জাহাজ।
আমেরিকার ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক একটি ব্যাংক, যাঁরা ডলার ছাপায়, আমেরিকানদের থেকে ট্যাক্স সংগ্রহ করে এবং সেই ট্যাক্সের টাকাই সরকারকে ধার দেয় দেশ চালানোর জন্য। আর এই ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক কিন্তু একটি বেসরকারি ব্যাংক। এটি কে চালায় জানেন? এই ইহুদী রথচাইল্ড পরিবার। এরা যদি একবার চায়, তাহলে ডলারের মানের পতন ঘটিয়ে পুরো আমেরিকার অর্থনৈতিক ব্যবস্থা ধ্বংস করে দিতে পারে। ঠিক অনুরুপ ব্রিটিশ পাউন্ডের ক্ষেত্রেও। এই কারণেই কোন ব্রিটিশ বা আমেরিকান প্রেসিডেন্ট ইহুদীদের ঘাটাতে সাহস পায় না।

এই পরিবারই ঠিক করে দেয় আমেরিকার পরবর্তী প্রেসিডেন্ট কে হবে। ২য় বিশ্বযুদ্ধে হলোকাস্ট ঘটিয়ে ইহুদীদের জন্য ইজরাইল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করার পেছনেও রথ চাইল্ড পরিবারের বড় ভূমিকা আছে। আমেরিকাকে ব্যবহার করে অবৈধ ইজরাইল রাষ্ট্র টিকিয়ে রাখার পেছনেও এরা কলকাঠি নাড়ায়। কেউ জানেনা এই পরিবারের কী পরিমাণ সম্পত্তি অর্থ রয়েছে। সেই ১৭৬০ সাল থেকেই এই পরিবার কঠোর গোপনীয়তা আর বংশের নিয়ম কানুন মেনে আসছে। মেয়ার রথ চাইল্ডের মারা যাওয়ার আগে উইলে স্পষ্ট করে উল্লেখ করে গিয়েছিলেন যে, তাঁদের ব্যবসা কোনোভাবেই পরিবারের বাইরে যাবে না ও পরিবারের বড় ছেলেই হবে ব্যবসার প্রধান। বংশের রক্তের বিশুদ্ধতার জন্য বাইরের কাউকে বিয়ে করা যাবেনা, তাঁদের বিয়ে হবে শুধুমাত্র কাজিনদের মধ্যে। পরিবারের যাঁরা ব্যবসার সাথে সরাসরি জড়িত থাকবেনা, তাঁরাও ব্যবসার লাভের একটা ভাগ পেতে থাকবে।
আড়াইশ বছর ধরে তাঁদের পারিবারিক এই নিয়ম একইভাবে চলে আসছে। এঁদের টার্গেট হলো, বিশ্বের অর্থনীতিকে সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ করে ধীরে ধীরে সকল ধর্মকে ধ্বংস করে ইজরাইলকেন্দ্রিক একমাত্র বিশ্বব্যবস্থা গড়ে তোলা, যার মাধমে প্রতিষ্ঠিত করবে সেই প্রাচীন “কিংডম অব হেভেন”।  অনেকে এটাকে conspiracy theory বলে, আবার অনেকে এটা সত্য বলেও মেনে নেয়। তবে রথ চাইল্ড পরিবার যে অনেক প্রভাবশালী ও ক্ষমতাবান একটি পরিবার, সেটা গুগলে Rothschild family সার্চ করলেই দেখতে পাবেন । ফ্রেন্স রেভুলেশন, ওয়াটার লু যুদ্ধ, ১ম ও ২য় বিশ্বযুদ্ধ, ওয়ার্ল্ড ব্যাংক, আইএমএফ তৈরি- সব কিছুর পেছনেই এই পরিবারের হাত রয়েছে।

http://www.prothom-alo.com/economy/article/628024/%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%82%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A7%87-%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%AC%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%B8%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A6%A8%E0%A6%BE-%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A6%87-%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A6%9B%E0%A7%87-%E0%A6%B0%E0%A6%A5%E0%A6%B8%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%A1