রবিবার, ১ মে, ২০১৬

কাজী ইব্রাহিম ছাহেবের আশ্চর্য কারামত ৩৬ দিনে ৩০ পারা কোরান মুখস্ত!


কথিত আহলে হাদিসের শাইখ কাজী ইব্রাহীমের
ডিজিটাল আশ্চর্য কারামত !!!!
উনি নাকি ৩৬ দিনে ৩০ পারা কোরআন মুখস্ত করেছেন !!
এই কথা যদি আহলে হকের কোন আলেম সম্পর্কে বলা হত !
বলুন তো --
তাহলে ডিজিটাল মুরিদ গুলো কি বলতো ?? 


পবিত্র কোরানের ভুল অনুবাদ by Dr. zakri naik

দেখুন! শিয়াদের কোরান দিয়ে সুন্নিদের বোঝানো। উদ্দেশ্য খারাপ!
পিস টিভি কিভাবে নতুন করে ইসলাম রিসার্চ এর নামে সুন্নি অনুবাদকদের প্রতিষ্ঠিত অনুবাদ অগ্রায্য করে একালের বিতর্কিত শিয়া ও গোড়া ইহুদী বংশদ্ভুত অনুবাদকদের ভুল ইংরেজি অনুবাদ দিয়ে কোরানের অর্থ ভুল করছে। এবং করে চলছে ...

শুক্রবার, ৯ অক্টোবর, ২০১৫

শিয়া মনিষীগনের কথা কথিত আলে হাদিসরা অন্ধের মত মানেন

একটা জিনিষ আমি আশ্চর্য্য হয়ে লক্ষ্য করলাম, যে, শিয়াদের অনেক অসত্য ও বিকৃত রেফারেন্স ও শিয়া মনিষীগনের কথা কথিত আলে হাদিসরা অন্ধের মত মানেন, অথচ সবসময় তারা শিয়াদের গালিগালাজ করেন! https://goo.gl/LPC02u
এবং শিয়াদের মত তারাও আমেরিকি/ইংল্যন্ডের প্রতি লোক দেখানো গালিগালাজ করলেও শেষ পর্যন্ত আনুগত্য প্রকাশ ও মুল ধারার মুসলমানদের মুসরিক/কাফের মনে করেন!
শিয়ারা যেমন ইসলামের দাওয়াত না দিয়ে দাওয়াতদেন তাদের মতবাদের তেমনি আলে হাদিসরাও বহু দলে বিভক্ত “আহলে হাদিস” ওরফে ওহাবী/নজদী মতবাদের(শিংয়ের) দাওয়াত দেন পিস টিভিতে।
সিরিয়ার রেফুজীদের নিয়ে বিশ্ববাসী কাদঁলো কিন্তু তারা রহস্যজনক ভাবে (পিস টিভি গং) মিডলইষ্ট দেশগুলোর মত না দেখার ভান করে রইলো।।





এই সব রহ্যস্যের মূল জানতে হলে পড়ুন: https://www.facebook.com/photo.php?fbid=1479708615675070&set=gm.516951458463029&type=3

পৃথিবীর অর্ধেক সম্পদের মালিক

পৃথিবীর সবচেয়ে ক্ষমতাধর ইহুদী পরিবার(পৃথিবীর অর্ধেক সম্পদের মালিক - The Rothschild family has a net worth of $700 trillion)

সারা বিশ্বকে নিয়ন্ত্রণ করে একটি পরিবার- রথ চাইল্ড ফ্যামিলি। মেয়ার আমসেল রথ চাইল্ড নামের ইহুদী ও তাঁর পাঁচ ছেলে মিলে এই পরিবার প্রতিষ্ঠা করেন। আমেরিকান ডলার থেকে শুরু করে ব্রিটিশ পাউন্ড-নোট ছাপানো, বিতরণ, বিলি সব কিছুর নিয়ন্ত্রণ এই পরিবারের হাতেই রয়েছে। এই পরিবারই ১৭৬০ সালে বিশ্বের প্রথম আধুনিক ব্যঙ্কিং ব্যবস্থার প্রবর্তন করে। দুনিয়ার সকল ব্যাংক এই রথ চাইল্ড ব্যাংকের কাছে নির্ভরশীল। কারণ, পৃথিবীর রিজার্ভ স্বর্ণের বেশিরভাগ দখল তাঁদের হাতে। এই জন্য রথ চাইল্ড ব্যাংককে বলা হয় “ব্যাংক অফ দ্য ব্যাংকস, দ্য গভর্নমেন্ট অভ দ্য গভর্নমেন্টস।”

শুরুতে এঁদের কাজ ছিল বিভিন্ন রাজকীয় পরিবারের সাথে ঋণ ব্যবসা গড়ে তোলা। তাঁরা এতো বেশি প্রভাবশালী ও ক্ষমতাবান ছিল যে, ষড়যন্ত্র করে দুই দেশের রাজার মধ্যে যুদ্ধ লাগিয়ে দিত। এরপর দুই রাজাকেই উচ্চ সুদে ঋণ দিত যুদ্ধের খরচ মেটানোর জন্য। যে দেশই জিততো না কেন, লাভের ভাগ রথচাইল্ডের হাতেই যেত। যেমন নাথান রথচাইল্ড ১৮১১ সালে ফ্রান্সের নেপোলিয়নের সাথে ইংল্যান্ডের রাজার যুদ্ধ বাঁধিয়ে দিয়েছিল, যেটা বিখ্যাত ওয়াটার লু যুদ্ধ নামে পরিচিত। সেসময় যুদ্ধের কারণে ইংল্যান্ড ও ফ্রান্সের মধ্যে কোন জাহাজই চলাচল করতে পারতো না। কিন্তু দেখা যেত একটি জাহাজ ঠিকই ফ্রান্স থেকে ইংল্যান্ড কিংবা ইংল্যান্ড থেকে ফ্রান্সে বাধাহীনভাবে যাচ্ছে। সেটাই ছিল এই রথ চাইল্ড পরিবারের ব্যবসায়িক জাহাজ।
আমেরিকার ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক একটি ব্যাংক, যাঁরা ডলার ছাপায়, আমেরিকানদের থেকে ট্যাক্স সংগ্রহ করে এবং সেই ট্যাক্সের টাকাই সরকারকে ধার দেয় দেশ চালানোর জন্য। আর এই ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক কিন্তু একটি বেসরকারি ব্যাংক। এটি কে চালায় জানেন? এই ইহুদী রথচাইল্ড পরিবার। এরা যদি একবার চায়, তাহলে ডলারের মানের পতন ঘটিয়ে পুরো আমেরিকার অর্থনৈতিক ব্যবস্থা ধ্বংস করে দিতে পারে। ঠিক অনুরুপ ব্রিটিশ পাউন্ডের ক্ষেত্রেও। এই কারণেই কোন ব্রিটিশ বা আমেরিকান প্রেসিডেন্ট ইহুদীদের ঘাটাতে সাহস পায় না।

এই পরিবারই ঠিক করে দেয় আমেরিকার পরবর্তী প্রেসিডেন্ট কে হবে। ২য় বিশ্বযুদ্ধে হলোকাস্ট ঘটিয়ে ইহুদীদের জন্য ইজরাইল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করার পেছনেও রথ চাইল্ড পরিবারের বড় ভূমিকা আছে। আমেরিকাকে ব্যবহার করে অবৈধ ইজরাইল রাষ্ট্র টিকিয়ে রাখার পেছনেও এরা কলকাঠি নাড়ায়। কেউ জানেনা এই পরিবারের কী পরিমাণ সম্পত্তি অর্থ রয়েছে। সেই ১৭৬০ সাল থেকেই এই পরিবার কঠোর গোপনীয়তা আর বংশের নিয়ম কানুন মেনে আসছে। মেয়ার রথ চাইল্ডের মারা যাওয়ার আগে উইলে স্পষ্ট করে উল্লেখ করে গিয়েছিলেন যে, তাঁদের ব্যবসা কোনোভাবেই পরিবারের বাইরে যাবে না ও পরিবারের বড় ছেলেই হবে ব্যবসার প্রধান। বংশের রক্তের বিশুদ্ধতার জন্য বাইরের কাউকে বিয়ে করা যাবেনা, তাঁদের বিয়ে হবে শুধুমাত্র কাজিনদের মধ্যে। পরিবারের যাঁরা ব্যবসার সাথে সরাসরি জড়িত থাকবেনা, তাঁরাও ব্যবসার লাভের একটা ভাগ পেতে থাকবে।
আড়াইশ বছর ধরে তাঁদের পারিবারিক এই নিয়ম একইভাবে চলে আসছে। এঁদের টার্গেট হলো, বিশ্বের অর্থনীতিকে সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ করে ধীরে ধীরে সকল ধর্মকে ধ্বংস করে ইজরাইলকেন্দ্রিক একমাত্র বিশ্বব্যবস্থা গড়ে তোলা, যার মাধমে প্রতিষ্ঠিত করবে সেই প্রাচীন “কিংডম অব হেভেন”।  অনেকে এটাকে conspiracy theory বলে, আবার অনেকে এটা সত্য বলেও মেনে নেয়। তবে রথ চাইল্ড পরিবার যে অনেক প্রভাবশালী ও ক্ষমতাবান একটি পরিবার, সেটা গুগলে Rothschild family সার্চ করলেই দেখতে পাবেন । ফ্রেন্স রেভুলেশন, ওয়াটার লু যুদ্ধ, ১ম ও ২য় বিশ্বযুদ্ধ, ওয়ার্ল্ড ব্যাংক, আইএমএফ তৈরি- সব কিছুর পেছনেই এই পরিবারের হাত রয়েছে।

http://www.prothom-alo.com/economy/article/628024/%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%82%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A7%87-%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%AC%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%B8%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A6%A8%E0%A6%BE-%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A6%87-%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A6%9B%E0%A7%87-%E0%A6%B0%E0%A6%A5%E0%A6%B8%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%A1

শনিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

মুসলমানদের ঘরের ভিতর, ড্রইং রুমে যখন সন্ত্রাসী


মুসলমানদের ঘরের ভিতর, ড্রইং রুমে যখন পিস টিভির মাধ্যমে সন্ত্রাসী ইহুদি/শিয়ারা ইসলাম প্রচারের নামে ফেতনা ছড়াচ্ছে, তখন আপনাদের অবশ্যই জানা উচিত তারা আসলে কারা ও তাদের পূর্ব ইতিহাস, তবেই আপনি তাদের প্রতারণা থেকে সতর্ক থাকতে পারবেন।
নিচের লেখাটি পড়লে তাদের সমন্ধে অনেক কিছু জানতে পারবেন...

https://www.facebook.com/photo.php?fbid=1479708615675070&set=gm.516951458463029&type=1

শুক্রবার, ৭ আগস্ট, ২০১৫

ওয়েলকাম! টু দ্যা নজদী ফেতনা!


dr. Zakir Naik peace tv
(ইহুদীদের সাথে শিয়া ও আহলে হাদিসদের [পিস্ টিভি সিন্ডিকেটের] সম্পর্কের গভীরতা এবং ওহাবিসম জানতে )

উদ্দেশ্যঃ

বিগত কয়েক দশক ধরে লক্ষ্য করা যাচ্ছে ইসলাম রিসার্চের নামে বিভিন্ন মিডিয়া; যথা প্রিন্ট, সেটেলাইট ও ইনটারনেটের মাধ্যমে কোরান/হাদিসের নিত্য নতুন অপব্যাখ্যা তৈরী করার মাধ্যমে উগ্রতাকে প্রমোট করা, এবং নানা অজুহাতে আজকের আলেম সমাজকে ঢালাও ভাবে হেয়-প্রতিপন্ন করার মাধ্যমে সাধারন মানুষকে মূল ধারার ইসলাম থেকে দূরে সরিয়ে দেয়া হচ্ছে, কিন্তু কেন? কারা এসবের মূলে রয়েছে ও বিশ্ববাসীকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা করছে? এই স্পর্শকাতর বিষয়টি আপনাদের সামনে ধর্মীয় রাজনীতি ও ইতিহাসের আলোকে তুলে ধরার ছোট্ট একটি প্রয়াশ নিয়েই লিখতে বসা, উপযুক্ত কেউ আমার এই লেখাটি সম্পদন করলে খুশী হব। এই লেখাটি, বর্তমান নজদী ফেতনা থেকে সবাইকে সতর্ক করবে বলে মনে করি।

 ভূমিকাঃ

নাস্তিক, কাফেরদেরকে সহজে চেনা যায়, কিন্তু পিস্ টিভি সিন্ডিকেট ওরফে আহলে হাদিস! ওরফে বাংলা ভাই ওরফে হেজবুত তেহেরী ওরফে বকো হারাম ওরফে আই.এস সন্ত্রাসী ওরফে নজদী ফেতনা ওরফে ওহাবী (এদের বন্ধু হচ্ছে শিয়া ও বুশ গং [ওয়েব: https://goo.gl/OPjhYH ] ও ইহুদী গুন্ডা) এদের সম্পরকে জানা সাধারণ মুসলমানদের জন্য বেশ কষ্টসাধ্য, যদি তারা মুফতী/আলেমদের সাহায্য না নেন। রসুঁনের গোড়া যেমন এক, তেমনি আদর্শিক ভাবে তাদেরও মূল এক। এদের সাথে শিয়া স্বভাবের মিল পাওয়া যায়। ইসলাম নাম দিয়ে এই নতুন মতবাদের উদ্ভব করেন আবদুল ওহাব নজদী, জন্মস্থান নজদ বা বর্তমান রিয়াদ।
খেয়েল করলে দেখবেন, এই মতবাদ নির্ভর বিভিন্ন নামের দলগুলো বর্তমান উঠতি বয়সের তরুন যারা ধর্ম নিয়ে তেমন কিছু জানেনা তাদেরকেই মূল টার্গেট করছে। এদেরকে কৌশলে ব্রেইন ওয়াস করা হচ্ছে নিজ ঘরের ড্রয়িং রুমে চ্যানেলের শেষের দিকে চলতে থাকা পিস্ টিভি ও তাওহীদ প্রকাশনীর মাধ্যমে। এই দলগুলো ইসলামের কোন উপকারের জন্য তৈরী করা হয়নি বরং তৈরী করা হয়েছে সন্ত্রাসী কর্যকলাপ করার মাধ্যামে ইসলামের মর্যাদাহানী করার জন্য; যেনো বিশ্বজনমতের কাছে ইসলাম একটি অশান্তির ধর্ম হিসাবে পরিচিতি পায়। ফলে ইহুদি দোসরদের দ্বারা বিশ্বের কোথাও মুসলমানদের উপর নির্যাতন করলে, যেন এর প্রতিবাদ করতে বিশ্বজনমত যেন আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন। শেষ জামানার এই নজদের ফেতনা নিয়ে নবীজী(স:) এর হাদিস পর্যন্ত রয়েছে। *১ *২

 নজদী ফেতনার বৃত্তান্তঃ

শিয়াদের ব্যাখ্যাকৃত কোরানের উপর বিশ্বাস রাখা [ওয়েব: https://goo.gl/LPC02u ], টেলিভশনে যাকাত চাওয়া, বিজাতীয় টাই পরিধান করা, কোটি দর্শকদের সামনে অশুদ্ধ ভাষায় কোরান পড়া, হাদিসের তথ্য লুকানো *৩ (যেমনঃ পুরুষের জন্য নামাজের হাদিস কে মেয়েদের বলে চালিয়ে দেয়া), বেপর্দা মেয়ে লোকের পাশে বসা সহ আরো অনেক নিকৃষ্ট ভয়ঙ্কর বিদাত প্রচারকারী ভন্ড ডা: জাকির নায়েক ও এসির নিচে বসে মনগড়া ফতোয়াবাজ*৪ মতিউর রহমান মাদানী গংদের ফেতনা বেশ ভয়ঙ্কর! তারা ইসলামের দাওয়াত নয় বরং দাওয়াত দেন বহু ফেরকায়/দলে বিভক্ত “আহলে হাদিস” ওরফে ওহাবী/নজদী মতবাদের(শিংয়ের)। এরা মূলত ওহাবী মতবাদেরই দাঈ বা প্রচারক। তাদের দেখে অতিবিচলিত বা আর্স্চয্য হওয়ার কিছু নেই। এই প্রথম বিশ্ব যুধ্বের অশুভ প্রেতাত্মাদেরই আবার হয়তো কোন অসৎ উদ্দেশ্যে ৯/১১ এর পর জাগিয়ে তোলা হয়েছে। সহীহ হাদীস মানার নামে মূলত হাদীস অস্বীকার করা এবং এর মাধ্যমে সুন্নতীদের মাঝে বিভেধ সৃষ্টি করাই তাদের মূল লক্ষ্য। তারা এমন সব অবান্তর/বাদাতি কথা বলবে, যেই কথা আপনি কোনদিন শোনেননি।

নজদী ফেতনার মূল সুত্রপাতঃ

১৯১৮ সালে প্রথম বিশ্ব যুদ্ধে ব্রিটিশ/ফ্রান্স উপনিবেশিক শক্তি গুলো ইহুদীদের বুদ্ধিতে হাজার বছর ধরে চলে আসা ইসলামিক খিলাফত(অটোম্যান এম্প্যায়ার বা উসমানীয় খেলাফত) ব্যবস্থাকে মিরজাফর এর মত লোকদের সাহায্যে ভেঙে দেয়/পরাজিত করে ফলে গোটা আরব সম্রাজ্য (মিডল ইস্ট) ব্রিটিশ/ফ্রান্সের অধীনে চলে আসে।
প্রচুর ইহুদী গুপ্তচর এই সময় মুসলিম সম্রাজ্যের পরাজয়ের পিছনে কাজ করে তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে মি: হেম্পার নামের এক জন বৃটিশ ইহুদী গুপ্তচর, ইনি একটি গোপন পরিবারে *৫ জন্মগ্রহন করেন ও প্রথম বিশ্ব যুদ্ধের আগে বারো বছর আরবের রাস্তায় রাস্তার আর্কিওলজিস্ট পরিচয় দিয়ে উসমানীয় খেলাফতের বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তি করেছেন। উল্লেখ্য যে, হেম্পার তুরস্কের শায়খ আফিন্দীর নিকট ছদ্ধবেশী মুসলমান সেজে কুরআন শরীফ ও হাদীছ শরীফ চর্চা করে ইবনে ওহাব নজদীর একান্ত বন্ধু ও সহযোগী হিসেবে পরিগণিত হয়েছিল।
মি: হেম্পারের এই অসামান্য অবদান স্বরনীয় করে রাখার জন্য পশ্চিমারা “লরেন্স অব এ্যারাবিয়া” নামক একটি নয় ঘন্টার অস্কার প্রাপ্ত ছায়াছবিও নির্মান করেন।

প্রথম বিশ্ব যুদ্ধে উসমানীয় খেলাফত পরাজয়ের পর, এই উপনিবেশিক শক্তি গুলো তাদের শাসন অঞ্চলগুলো ভাগাভাগি করেন ও এই সম্রাজ্যের দেশ গুলোকে শাষন/শোষন করার জন্য প্রত্যেক দেশে(কাতার, কুয়েত, লিবিয়া, মিসর, ইরাক, ইরান, জর্ডান, সৌদি আরব, ওমান ইত্যাদি) তাদের অনুগত বা যারা উসমানীয় খেলাফত উৎখাতে ব্রিটিশ/ফ্রান্স কে সহযোগিতা করেছিল এ জাতীয় লোকদের গর্ভনর বা রাজা হিসেবে নিয়োগ করেন (যেমনঃ আফগানিস্তানের পশ্চিমা অনুগত হামিদ কারজাই এর মত ব্যাক্তিবর্গ)।
এখানে বিশেষ ভাবে উল্লেখ্য থাকে যে, ততকালিন সময় ব্রিটিশ/ফ্রান্স যে কোন রহস্যজনক কারনে ফিলিস্তিনে রাজা বা গভর্ণর নিয়োগ দেয়নি, তবে, দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধে ততকালিন অটোম্যান সম্রাজ্যর অ্যালাইড জার্মানীর পরাজয়ের পর (১৯৪৫ সাল) বোঝা যায় এই অঞ্চলটি ইহুদীদের জন্য সংরক্ষন করা হচ্ছিল, যা ছিল তাদের অনেক আগেরই বৃহঃত্তর নীল নকশার একটি অংশ মাত্র।

উপনিবেশিক শক্তি গুলো আরব বিশ্বে মুসলমানদের উপর কর্তৃত্ব বজায় রাখার জন্য প্রচুর ইন্জিনিয়ারিং করেছে যেমনঃ হেজাজ্ ও নজদ্ এর নাম পাল্টে যথাক্রমে বর্তমান সৌদী আরব ও রিয়াদ রাখা হয়। এমনকি মুসলমানদের ধর্ম ইসলামকেও তারা ইন্জিনিয়ারিং করা থেকে ছাড় দেয়নি, যেমনঃ ভারতবর্ষ শাষন কালে তারা এদেশের আলেমদের কিনতে চেয়েছিলেন, যে সমস্ত আলেমগন ব্রিটিশদের অনুগত হননি তাঁদের শহীদ/নির্যাতন অথবা আন্দামান দ্বীপে জেলে পাঠানো হতো। এবং কাদিয়ানী ও এরকম ভূঁইফোড় মুসলিম(!) দল তৈরী করেছিল মুসলমানদের(সুন্নি) ভাগ করার জন্য। তেমনি ভাবে মধ্য প্রাচ্যে মুহাম্মদ আবদুল ওহাব নজদী এর নিজস্ব মতবাদ "ওহাবীসম" কে সুন্নিদের উপর প্রতিষ্ঠিত করার জন্য উপনিবেশিক শক্তি এ মতবাদে বিশ্বাসীদের অর্থ ও অস্ত্র দিয়ে সাহায্য করে। ওহাবী মতবাদে বিশ্বাসীরা মুসলিমদের মুশরিক আখ্যা দিয়ে সমাজে থেকে শিরক/বেদাত নির্মূলের অজুহাতে প্রচুর নির্যতন চালান ও ক্ষমতা পাঁকাপোক্ত করেন।
এছাড়াও পরবর্তীতে তাদের গুপ্তচর ইহুদী এজেন্টবৃন্দ / বিক্রি হয়ে যাওয়া বুদ্ধিজীবি! টাইপের লোকজন দিয়ে হাদিস/কোরানের আয়াতের বিকৃত ব্যাখ্যা/টিকা/অনুবাদের বই (উগ্রতা ও এমনকি শিয়াদের বিশ্বাস থেকেও) লিখে ছড়িয়ে দেয়া হয়। এসবি করা হয় মুসিলমদের মূল ধারা থেকে শিয়া/কাদিয়ানিদের মতো আরেকটি উপদল বের করে মুসলমানদের সমাজ কে ক্ষন্ডিত করার উদ্দ্যেশ্যে।

প্রসংগত, সে আমলেই নাসিরুদ্দিন আলবানী রহঃ (জন্ম ১৯১৪ সাল আলবেনীয়া– মৃত্যু ১৯৯৯ সাল জর্ডান - পেশায় ঘড়ী মেকার), যিনি কোন জামেয়া/ভার্সিটিতে লেখাপড়া করেননি অথবা ব্যাক্তগত ভাবে যুগীয় কোন মুহাদ্দিসের কাছে ইলমে হাদিস শিখেননি। তিনি প্রায় চৌদ্দশত বছর পর পূর্ববর্তী জগৎখ্যাত মুহাদ্দীসগনের (তাবেঈন সহ) অত্যান্ত কঠোর ও নিষ্ঠার সাথে যাচাই/বাছাই ও সংগ্রীহিত, বিশুদ্ধ, সার্বজনীন স্বীকৃত, অথেনটিক প্রধান প্রধান হাদিস গ্রন্থ সমুহ যেমনঃ মুসলিম/ সুনানে আবু দাউদ/ তিরমিজি/ বুখারী শরীফ ইত্যাদি সংশোধন(!) করার অজুহাতে তার স্বভাব বিরোধী বহু হাদিসকে ফেলে দিয়েছেন যদিও হাদীস গ্রহণের ক্ষেত্রে তার সুপ্রমাণিত কোন সনদ নেই। তিনি স্বপ্রনোদিত ভাবে নতুন করে হাদিস সমুহের তার স্বভাব নির্ভর বেপরোয়া ব্যাখ্যাও প্রদান করেন। *১১

নিজের মত প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে যয়ীফ হাদিসকে সহীহ ও সহীহ হাদিসকে যয়ীফ বলেছেন; এমনকি নিজ কিতাবেই একটি হাদীসকে সহীহ বলেছেন, অন্য কোথাও সেটিকে আবার যয়ীফ বলে চালিয়ে দিয়েছেন, অসংখ্য হাদীসের ক্ষেত্রে তিনি এ ধরণের স্ববিরোধীতার আশ্রয় নিয়েছেন, যা অত্যান্ত অস্বাভাবিক। অথচ ডাঃ জাকির নায়েক শায়খ নাসীরুদ্দিন আলবানী কে তার বর্তমান যুগের শ্রেষ্ঠ মুহাদ্দিস মনে করে থাকেন।*১১

এই সব পুনঃসংকলন গুলো করতে গিয়ে তিনি পূর্ববর্তী হাদিস সংকলক জগৎখ্যাত মুহাদ্দীসগনকে(তাবেঈন সহ) এক দিকে তিরস্কার করেন, আবার হাদীস প্রিয়তার নামে সমস্ত মুহাদ্দিসদের উস্তাদ সাজেন তিনি।*৬ অর্থাৎ নাসীরুদ্দিন আলবানীর অধিকাংশ মুহাদ্দিসের হাদীসের সমালোচনা করার মূল উদ্দেশ্য হল, মানুষ যেন আবশ্যকভাবে তাঁকে ইমাম বানায় এবং তাঁর অন্ধ অনুকরণ করে। এবং যতক্ষণ পর্যন্ত আলবানীকে জিজ্ঞেস না করবে এবং তার বিশ্লেষণকে গ্রহণ না করবে, ততক্ষণ পর্যন্ত অন্য কোন বিশ্বস্ত ও গভীর পাণ্ডিত্যের অধিকারী মুহাদ্দিসগনের হাদীসের উপরও যেন নির্ভর না করে।
 যে কারনে হাজার বছরের পূর্ববতী তাবেয়ীগনের সংকলনের সাথে মত বিরোধের সুচনা হয়।

তাছাড়াও তার এই পুনঃ সংকলিত গ্রন্থ গুলোর নামকরন তিনি তার নামেই করতে পারতেন বা করা উচিত ছিল বলে মনে করি, যেমনঃ “আলবানী শরীফ” নাম দিতে পারতেন, কারন তিনিই এই গ্রন্থের সংকলক। তা না করে পূর্ববর্তী আলেমদের নামেই কেবল নামের সামনে “সহীহ” শব্দ সংযোজন করে নামকরণ করেন, যেমন, “সহীহ বোখারী শরীফ” বা “সহীহ আবু দাউদ শরীফ”। এরকম আসলটির সাথে মিল রেখে নামকরনের ফলে নানা প্রকার বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়। এতে ফেকাহ্ শাস্ত্রে বা সায়েন্সে অজ্ঞ ব্যাক্তি কোনখানে হাদিসের রেফারেন্স দেখে বুঝেন এটা ইমাম বুখারীর অথবা আবু দাউদের সংকলিত বিশুদ্ধ হাদিস শরিফের কিন্তু ভালভাবে খুজলে হয়তো দেখা যাবে ওই রেফারেন্স আলবানীর পুনঃসংকলিত গ্রন্থ থেকে নেয়া হয়েছে।

ফলে সাধারন মুসলমানরা ইমাম বোখারীর বোখারী শরীফ, সুনানে আবু দাউদ সহ অন্যান অথন্টিক, বিশুদ্ধ হাদিস গ্রন্থ সমুহ বাদ দিয়ে আলবানীর সম্পাদিত আন-অথেনটিক, সার্বজনীন স্বীকৃতি না পাওয়া এসব গ্রন্থগুলোর মানতে শুরু করেন, শুধু তাই না আসল হাদিস গ্রন্থের হাদিস গুলোকে মিথ্যা বা জাল জানতেও শুরু করেন। তিনি অন্যান আরো যে সমস্ত হাদিস গ্রন্থের সংকলন বের করেননি, তাদের বেশীর ভাগ গ্রন্থের হাদিস গুলোকে অস্বীকার করা হয় অথবা গুরত্ব দেয়া হয় না। তবে ইনি শেষের দিকে নিজেই নিজের কাজের বেশ কিছু সংশোধনী দিয়ে যেতে সম্মত হয়ে ছিলেন। ইমাম বোখারী (রহ:) বলেন, “বোখারী শরীফের বাইরে আমার এক লক্ষ সহীহ হাদীস মুখস্ত রয়েছে।” *৮

এখানে উল্লেখ্য থাকে যে, চৌদ্দশত বছর পর, তিনি যে সময় এই পুনঃ সংকলন! ও যাচাই বাছাই এর কাজ আরবে বসে করছিলেন, ঐ সময় ব্রিটিশ/ইহুদীদরা সমগ্র আরবের মুসলিম সমাজে প্রভাব বিস্তার করছিল, তাই উনার এই পুনঃসংকলন! ও হাদিস যাচাই/বাছাই ব্রিটিশ প্রভাব মুক্ত বলা যাবেনা। উনার এই সমস্ত কাজ, নাপিত দিয়ে ডাক্তারী করানোর মতো, কারন উনার উক্ত বিষয়ে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ছিল না। এই তথাকথিত যাচাই/বাছাই দ্বারা মুসলমানদের হাদিস গুলোকে তথা মুসলমান জাতিকে সে সময় দুই ভাগেভাগ করার মত বৃথা হীন চেষ্টা করা হয়।

এখানে বলে রাখাভাল যে, ফেকাহ্ শাস্ত্রে বা সায়েন্সে বিভিন্ন প্রকার হাদিস রয়েছে। হাদিসের সংজ্ঞা, রাবীর সংখ্যা, রাবী বাদ পড়া, সনদ, রাবীর গুণ ইত্যাদি অনুযায়ী হাদিস কে শ্রেণীভুক্ত করা হয়। যেমন: হাসান, মুরসাল, মাওকুফ, সহীহ, যঈফ/দূর্বল, মুত্তাসিল... ইত্যাদি। শুধু সহীহ হাদিস মানতে বা আমাল করতে হবে বাকি প্রকারের হাদিস গুলো মানা বা আমাল করা যাবে না ব্যাপারটি এমন নয়। বাকি অন্যান প্রকারের হাদিস গুলো না মানলে পরিস্কার গুনাহগার হতে হবে এবং মুসলমানদের মধ্যে বিভক্তি সৃষ্টিকারী বলে গন্য হতে হবে। আর মিথ্যা, জাল, কৃত্রিম, ভুল, অসত্য কোন হাদিসের আমাল বা গ্রহনযোগ্যতা নিয়ে তো কোন প্রশ্নই আসে না। *৭

মূলত গ্রন্থের নামের শুরুতে এই নতুন “সহীহ” শব্দটি কৌশলে ব্যাবহার করে সুন্নী মুসলমানদের মধ্যে একটি ফেতনা সৃষ্টির অপচেষ্টা করা হয়। আমাদের বুঝতে হবে, যথা: “বোখারী শরীফ” ইমাম বোখারী(র:) ও “সহি বোখারী শরীফ” নাসিরুদ্দিন আলবানী সম্পাদনা করেছেন, তারা দুই জন আলাদা ও তাদের সংকলিত/সম্পাদিত গ্রন্থও পৃথক পৃথক।
তার এই কাজ ততকালীন মুসলিম জ্ঞানী সমাজে ব্যাপক সমালোচিত হয়।
যেমনঃ
১. শায়খ সাইদ আল মামদুহ আলবানী সাহেব একটি হাদীসকে তিনি সহীহ বলেছেন, বাস্তবে সেটি যয়ীফ, এজাতীয় আট'শ হাদীসের উপর আলোচনা করেছেন।
২. শায়খ হাম্মাদ বিন হাসান আল-মিসরী ৩০০ 'শ এর বেশি রাবীর জীবনী আলোচনা করেছেন, যাদের ব্যাপারে আলবানী সাহেব বলেছেন, তাদের কোন জীবনী কোন কিতাবে পাইনি অথবা তারা অপরিচিত।
৩. উদা বিন হাসান উদা এই কিতাবে যে ৫০০ হাদীস উল্লেখ করা হয়েছে, আলবানী সাহেব পূর্বে একটা হাদীসকে সহীহ বলেছেন, পরে মত পরিবর্তন করে সেটাকে যয়ীফ বলেছেন।
৪. আলবানী সাহেব এতো বেশি পরিমাণ স্ববিরোধীতা করেছেন যে, এ বিষয়ে তিনি অনেক সমালোচনার মুখে পড়েছেন। একজন সুস্থ ধারার মুহাদ্দিস দু'একটি হাদীসের ক্ষেত্রে এমন করতে পারেন, কিন্তু তিনি শত শত হাদীসের ক্ষেত্রে এধরণের স্ববিরোধতিা করেছেন। শায়খ হাসান বিন আলী আস-সাক্কাফ আলবানী সাহেবের এ ধরণের স্ববিরোধীতার উপর কিতাব লিখেছেন।
৫. মুফতী বিন(রহ:) বায বলেন- আলবানী সাহেব ছহীহ হাদীস সমূহের বিরোধিতাকারী।

ফেতনার চেইনঃ

ইহুদীরা জন্ম থেকেই ইসলামের শত্রু। তারা ইসলামকে দূর্বল করার জন্য ইহুদী আব্দুল্লাহ ইবনে সাবা কে দিয়ে শিয়া মতবাদের সৃষ্টি করে, যা ইসলাম ধর্ম থেকে বিচ্যুত একটি বিশ্বাস/মতবাদ/শিং। তারাও নামাজ/রোজা করে কিন্তু তাদের সাথে আমাদের পার্থক্য হচ্ছে বিশ্বাসে, যেমনঃ শিয়াদের কালিম শরীফ হলো “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহম্মাদুর রাসুলুল্লাহ আলী ওয়ালী উল্লাহ” কালিমা শরীফ নিয়ে তাদের বক্তব্য হলো, “আলী ওয়ালী উল্লাহ ব্যতীত কালিমা তাইয়্যিবা মিথ্যা” *১২
ইহুদি সৃষ্ট শিয়াদের এসব বিশ্বাস কে পুঁজি করে শিয়া মতাবিলম্বী ওহীদুজ্জামান (পরে সুন্নি পরে আলে হাদিস, বির্তকিত!) এর মতো লোকজন দিয়ে ভারতবর্ষে ওহাবী মতবাদের আরেক ভার্সন আহলে হাদিস নামক দল তৈরী করে। এই আহলে হাদিসদের মতবাদের সাথে শিয়াদের মতবাদের অনেক সদৃশ্য পরিলক্ষিত হয়, যেমনঃ ইজমা কিয়াস/মাজহাব/ফিক্বহকে অস্বিকার, সাহাবীরা ফাসিক, নেকায়ে মুতা জায়েজ, শ্বাশুরীর সাথে জিনা করলে স্ত্রী হারাম হবে না, শুকরের অঙ্গ বিশেষ পবিত্র, কুকুর পাক।*১২ এমনকি ওহীদুজ্জামান সাহেব লিখেছেনঃ “হে আল্লাহ কিয়ামতের দিন আমাদের হাশর আলীর শিয়াদের সাথে করিও”। “আহলে হাদীস হল আলীর শিয়া”। *১২

ততকালিন সময় সামান্য পরিবর্তন করে মূলত শিয়া মতবাদ নির্ভর বিভিন্ন নামের দল/উপদল তৈরি করা হয়। এ যেনো বাহারি নামের মোড়কে একি খাবার। এখানে, সুস্পষ্ট ভাবে বোঝা যায়, ইহুদীদের থেকে সৃষ্ট ফেতনাগুলো একটির থেকে অপরটির উদ্ভব করা হয়, এরা ধারাবাহিক ভাবে একটি ঐতিহাসিক চেইনও রক্ষা করে, যার মূল কাজই হলো ইসলামের ধংস।

ইহুদীরা মুসলমানদের ক্ষতি করার জন্য সবসময় বিভিন্ন অদ্ভুত কর্যকলাপে নিযুক্ত থাকে। যেমনঃ তারা সুন্নীদের মাঝ থেকে ছোট ছোট উগ্র দল তৈরী করে আবার মুক্তচিন্তার নামে তাদেরই নাস্তিক বন্ধুদের দিয়ে ইসলামের কুৎসা করে কুরুচীপূর্ণ কার্টুন প্রকাশ করে। আবার, তাদেরই ওহাবী বন্ধুদের বলবে, তারা যেন ব্রেন ওয়াস করা তাদের গুটিকয় উগ্র সদস্য দিয়ে নাস্তিকদের কুকর্মের জন্য একটি উচিত শিক্ষা দেয়। ব্যাস এটুকুই, তার পরের ফলাফল দেখুন...
ফলাফলঃ সুন্নী নিধনঃ এই গুটিকয় নাস্তিকদের উপর আক্রমন এর নিউজ ইহুদি মিডিয়া তথা সি.এন.এন – বি.বি.সি তে তারা সারা বিশ্বে প্রচার করে বিশ্বজনমত তৈরী করে মুসলমানদের(সুন্নী)বিরুদ্ধে, আর কিছুদিনের মধ্যেই তাদের দোসর শিয়াদের সাথে নিয়ে সুন্নী অধ্যুষিত দেশগুলোর সুন্নীদের উপর ঢালাও ভাবে নির্যাতন করা, এসব এখন নীল নকশা এখন ওপেন সেক্রেট হয়ে দাড়িয়েছে! (এটা আমার নিজস্ব মতামত, এক মত নাও হতে পারেন!)

আমাদের করণীয়ঃ

উপনিবেশিক শক্তিদের দ্বারা সৃষ্ট্য এই সমস্ত উগ্রপন্থী “আহলে হাদিস”, “পিচ টিভি সিন্ডিকেট”, টাইপের তৈরী করা ফাঁদে বা সুমিষ্ট কথায় পা না দেয়া ও বাপ/ দাদার ধর্ম ট্রাডিসনাল(সুন্নাহ্) ইসলামে অবিচল থাকা। আলেম সমাজ আছে বলেই আমাদের সমাজে এখনো শান্তি ও ঐক্য আছে, তারা সবসময় বেদাতের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছেন ও করে চলছেন, তারা আমাদের অবিভাবক সরূপ। আহলে হাদিস, পিচ টিভি সিন্ডিকেট এর কথায় তাঁদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিলে মুসলিম উম্মাহ্ ফেতনার মুখে পরবে তাই আমাদের উচিত উপযুক্ত আলেম /মুফতী সাহেবদের সৎসর্গে থাকা ও শান্তির ইসলাম এ থেকে মহান আল্লাহর নৈকট্য লাভ করা ও সৃষ্টির সেবা করা।

আল্লাহ্ আমাদের সঠিক বুঝ দান করুন।

(এই লেখাটি, দ্বীন ইসলামের স্বার্থে ও নজদী ফেতনা থেকে সবাইকে সতর্ক করতে ভাই/বন্ধুদের মাঝে প্রচার করুন।)

তথ্যসূত্রঃ

ওহাবীদের পিছনে বুস গং, ওয়েব: https://goo.gl/OPjhYH
পবিত্র কোরানের ভুল অনুবাদ, ওয়েব: https://goo.gl/LPC02u
ওয়েব: https://goo.gl/OMdFWE
ওয়েব: http://goo.gl/1xdmbL
ওয়েব: http://goo.gl/lSj0iY
ওয়েব: http://goo.gl/l9zADw
ওয়েব: http://www.masud.co.uk/ISLAM/misc/najd.htm


*১. রাসূলে খোদা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামা এরশাদ ফরমান, “এয়া আল্লাহ! আমাদের সিরিয়া (শাম) ও আমাদের ইয়েমেনদেশে বরকত দিন।“ সাহাবা-এ-কেরাম রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুম আরয করেন, “আমাদের নজদ অঞ্চলের জন্যেও (দোয়া করুন)?” রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামা আবার দোয়া করেন, “এয়া আল্লাহ! আমাদের শাম ও ইয়েমেনদেশে বরকত দিন।“ সাহাবা-এ-কেরাম রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুম আবারও আরয করেন, “আমাদের নজদ অঞ্চলের জন্যেও (দোয়া করুন)?” তৃতীয়বারে আমার (ইবনে উমর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) মনে হলো তিনি বললেন, “ওখানে রয়েছে ভূমিকম্পসমূহ ও নানা ফিতনা (বিবাদ-বিসংবাদ), এবং সেখান থেকে উদিত হবে শয়তানের শিং (কারনুশ্ শয়তান)”।“

*২. হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “আমার বিদায়ের পর পূর্ব দেশগুলির মধ্যে (নজদ) হতে আমার উম্মতের ভিতরে একটি দল বের হবে। এই দলের সদস্যগন হবে অশিক্ষিত এবং মূর্খ। এদের মধ্যে কোন শিক্ষিত লোক গেলে সেও হয়ে যাবে মূর্খের মত। তাদের বক্তৃতা হবে বহুগুনের ফযীলতের। তারা সুন্দর সুন্দর কথা বলবে। তাদের আমলগুলো খুবই নিখুত ও সুন্দর মনে হবে । তাদের নামাজের তুলনায় তোমাদের নামাজকে তুচ্ছ মনে করবে,তাদের রোজা দেখে তোমরা তোমাদের রোজাকে তুচ্ছ ও নগন্য মনে করবে । তাদের আমল দেখে তোমাদের আমলকে হেয় মনে করবে। তারা কুরআন শরীফ পড়বে কিন্তু তা তাদের গলার নিচে যাবে না (বোধগম্য হবে না বা অন্তর/কলবে পোঁওছাবে না। (তাই প্রকৃতভাবে) তারা কুরআনের উপর আমল বা কুরআন প্রতিষ্ঠার কোন চেষ্টাও করবে না। এদের আমল তোমাদের যতই আকৃষ্ট করুক না কেন, কখনোই এদের দলে যাবে না। কারন প্রকৃতপক্ষে এরা ইসলাম থেকে খারীজ(বাতিল), দ্বীন হতে বহির্ভূত । তীর যেমন ধনুক হতে বের হয়ে যায়,সে আর কখনো ধনুকের নিকট ফিরে আসে না। তেমনি এরা দ্বীন থেকে বেরিয়ে যাবে,আর কখনো দ্বীনের পথে, কুরআন সুন্নাহর পথে ফিরে আসবে না।“
দলীল- বুখরী শরীফের অন্যতম ব্যাখ্যাকার ইমাম হাজর আস্কালানী(রহ: ) : শরহ বুখারী ফতহুল বারী ১২ তম খন্ড ৩৫০ পৃষ্ঠা ।
মিশকাত শরীফের প্রসিদ্ধ ব্যাক্ষ্যাকার মোল্লা আলী কারী(রহ ) : মিরকাত শরহে মিশকাত ৭ম খন্ড ১০৭ পৃষ্ঠা ।

*৩ পুরুষের জন্য নামাজের হাদিস কে মেয়েদের বলে চালিয়ে দেয়া, ওয়েব: https://goo.gl/9aFaWZ

*৪ একবার নিজের পক্ষের দলিলকে সঠিক সাব্যস্ত করতে গিয়ে মুরসাল হাদীস নিলেন কিন্তু অন্য ব্যপারে মুরসাল হাদীস কে যয়ীফ বানিয়ে দিলেন, ওয়েব: https://goo.gl/WAL1QT
মতিউর মাদানী পযালোচনা, ওয়েব: https://goo.gl/W9twRr

*৫ গুপ্তচরের গোপন পরিবারে জন্মগ্রহন, ওয়েব: https://goo.gl/vJR39i

*৬ ইমাম বোখারী (রহঃ) কে অমুসলিম আখ্যায়িত করা- "এ ধরণের ব্যাখ্যা কোন মুমিন-মুসলমান দিতে পারে না। তিনি বলেন, এ ধরণের ব্যাখ্যা মূলতঃ কুফরী মতবাদ তাতীলের অন্তর্ভূক্ত, ওয়েব: http://goo.gl/dJ8QFu

*৭ ফেকাহ্ শাস্ত্রে বা সায়েন্সে বিভিন্ন প্রকার হাদিস রয়েছে, ওয়েব: http://goo.gl/CBKlA8
যঈফ হাদীসের গ্রহণযোগ্যতা, ওয়েব: http://goo.gl/CbKjwC
ইবনে তাইমিয়ার দৃষ্টিতে যঈফ হাদীসের উপর আমল করা জায়িয ও মুস্তাহাব, ওয়েব: http://goo.gl/hUPbMB

*৮ (আল-কামিল, ইবনে আদী ১/১২৬, তারীখে বাগদাদ, খতীব বাগদাদী ২/৮-৯, শুরুতি আইম্মাতিল খামসা, হাযেমী ১৬০,১৮৫)

*১১ আলবানী সাহেবের আসল চেহারা, ওয়েব: https://goo.gl/FyWGbm
নাসিরুদ্দিন আলবানী সম্পর্কে কিছু চমৎকার তথ্য, ওয়েব: https://goo.gl/Ntii9X
নাসিরুদ্দীন আলবানী আলেম, ওয়েব: https://goo.gl/ch9uxc
ঐ সমস্ত হাদিস যা নাসিরুদ্দিন আলবানী রহঃ আগে জঈফ বলেছেন পরে সহীহ বলেছেন, ওয়েব: https://goo.gl/5V2fBe

*১২ শিয়াদের কুফরী আকিদা, ওয়েব:  https://goo.gl/lhjLXD
শিয়াদের কুফরী বিশ্বাস সমূহ, ওয়েব:  http://goo.gl/ddPFBJ
ওরা আহলে হাদীস না শিয়া, ওয়েব:  https://goo.gl/iAHYsN
Ahle Hadees ki Haqeeqat, ওয়েব: https://goo.gl/Zyrm8i
শিয়াদের আজান, ওয়েব: https://goo.gl/fz1r5P
শিয়া প্রিতি, ওয়েব: https://goo.gl/YZxA2X


লেখকঃ

ডা: ফখরুল ইসলাম

কপিরাইটঃ

দ্বীন ইসলামের স্বার্থে প্রচার করুন।

উৎসর্গঃ

সাধারন মুসলমানগনের (সুন্নী) জন্যই এই লেখা উৎসর্গ করা হলো।
ওয়েব: http://peacetv-collection.blogspot.com/

শনিবার, ৩০ মে, ২০১৫

সৌদি রাজপরিবারের ইতিহাস

সৌদি আরব হলো কোনো ব্যক্তির নামে প্রতিষ্ঠিত পৃথিবীর একমাত্র মুসলিম দেশ। অন্য কোনো মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ কোনো ব্যক্তির নামে প্রতিষ্ঠিত হয়নি।

রিয়াদের নিকটস্থ দিরিয়া নামের একটি কৃষিবসতির প্রধান ছিলেন মুহাম্মদ বিন সৌদ। এই উচ্চাভিলাষী মরুযোদ্ধা ১৭৪৪ সালে আরবের বিখ্যাত ধর্মীয় নেতা মুহাম্মদ বিন ওয়াহাব [ওয়াহাবী মতবাদের প্রতিষ্ঠাতা]-এর সাথে মৈত্রী চুক্তি করে “দিরিয়া আমিরাত” গঠন করেন। তুরস্কের উসমানিয়া খিলাফতের বিরুদ্ধে শিরক-বিদাত পালনের অভিযোগে এই দুজন ঐক্যবদ্ধ হয়ে যুদ্ধ শুরু করেন। ওই “দিরিয়া আমিরাত”-ই বিশ্বের প্রথম সৌদি রাজ্য/আমিরাত। মুহাম্মদ বিন সৌদ তার পুত্র আবদুল আজিজের সাথে মুহাম্মদ বিন ওয়াহাবের মেয়ের বিয়ে দেন। এভাবেই সৌদ পরিবার ও ওয়াহাবী মতবাদের মিলনযাত্রা শুরু হয়। ১৭৬৫ সালে মুহাম্মদ বিন সৌদ-এর মৃত্যু হলে তার ছেলে আবদুল আজিজ দিরিয়ায় ক্ষমতাসীন হয়।

এই আবদুল আজিজ তত্কালীন বিশ্বের সাম্রাজ্যবাদী মোড়ল ব্রিটেনের সাথে হাত মিলিয়ে তুরস্কের খলিফাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালাতে থাকে। শ্বশুর ইবনে ওয়াহাবের ধর্মীয় মতবাদকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে তথাকথিত শিরক-বিদাত উচ্ছেদের নামে ব্রিটিশদের সাথে তুর্কি খিলাফত ধ্বংসের কাজে লিপ্ত হয় আবদুল আজিজ। ১৭৯২ সালে মুহাম্মদ বিন ওয়াহাবের মৃত্যু হয়। ১৮০১/২ সালে আবদুল আজিজ তুর্কি খিলাফতের কাছ থেকে ইরাক দখল করে হজরত আলী (রা.) ও হজরত হুসেন (রা.)-এর মাজার শরিফ ভেঙে ফেলে। এর প্রেক্ষিতে ১৮০৩ সালে একজন শিয়া মুসলিম আজিজকে দিরিয়ায় আসরের নামাজরত অবস্থায় হত্যা করে। 

এর পর আবদুল আজিজের ছেলে সৌদ বিন আবদুল আজিজ ক্ষমতায় এসে তুর্কিদের পরাজিত করে ১৮০৩ সালে মক্কা ও ১৮০৪ সালে মদিনা দখল করে নেয়। দুই পবিত্র নগরী দখল করে তারা ব্যাপক ধ্বংসলীলা চালায়। তারা মক্কা-মদিনার বহু মুসলিমকে হত্যা করে। সবই করা হয় সেই শিরক-বিদাত উচ্ছেদের নামে! ওয়াহাবী মতবাদের ধর্মীয় শুদ্ধি অভিযানের অজুহাতে তারা বহু সাহাবীর কবরস্থান ধ্বংস করে। এমনকি খোদ মহানবী (সা.)-এর পবিত্র কবরে ছায়াদানকারী মিম্বরগুলোও এরা ভেঙে ফেলে! মহানবী (সা.)-এর পবিত্র রওজাকে তুর্কি খলিফারা যেসব মণি-মুক্তায় সাজিয়েছিলেন, শুদ্ধি অভিযানের নামে সেসবও তুলে ফেলে সৌদ-এর বাহিনী। এসবই চলে ব্রিটিশদের অস্ত্র ও অর্থ সহায়তা নিয়ে।

ইরাক-মক্কা-মদিনায় সৌদিদের এই ধ্বংসযজ্ঞে তত্কালীন তুর্কি খলিফাগণ ভীষণ রুষ্ট হন। ১৮০৮ সালে খলিফা ২য় মাহমুদ ক্ষমতাসীন হয়ে সৌদিদের দমনে শক্তিশালী সেনাদল পাঠান। ব্রিটিশ বাবারা এবার আর সৌদিদের বাঁচাতে পারেনি। ১৮১৮ সালে সৌদের ছেলে, তত্কালীন সৌদি শাসক আবদুল্লাহ বিন সৌদ তুর্কিদের কাছে আত্মসমর্পণ করে।
আবদুল্লাহ বিন সৌদকে বন্দী করে ইস্তাম্বুলে নিয়ে যাওয়া হয়। দুই পবিত্র নগরী ও বহু মসজিদ ধ্বংসের শাস্তি হিসেবে খলিফা ২য় মাহমুদ-এর নির্দেশে আবদুল্লাহ বিন সৌদ ও তার দুই ছেলেকে ইস্তাম্বুলে প্রকাশ্যে শিরচ্ছেদ করা হয়।
খলিফা ২য় মাহমুদ
 
এভাবেই প্রথম সৌদি আমিরাত (১৭৪৪-১৮১৮)-এর পতন হয় ও পবিত্র মক্কা-মদিনাসহ আরবে উসমানিয়া খিলাফতের শাসনকর্তৃত্ব ফিরে আসে।
সৌদ পরিবারের দিরিয়ার আখড়া ১৮১৮ সালে ধ্বংস হয়ে গেলে প্রথম সৌদি আমিরাতের শেষ আমীর আবদুল্লাহর তুর্কি নামের এক পুত্র মরুভূমিতে পালিয়ে যায়। এই তুর্কি বিন আবদুল্লাহ পালিয়ে বনু তামিম গোত্রে আশ্রয় নেয়। পরে ১৮২১ সালে সে আত্মগোপন থেকে প্রকাশ্যে এসে উসমানিয়া খিলাফতের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে।
১৮২৪ সালে তুর্কি বিন আবদুল্লাহ উসমানিয়াদের নিয়োজিত মিশরীয়দের হটিয়ে দিরিয়া ও রিয়াদ দখল করে নেয়। রিয়াদকে রাজধানী করে গঠিত এই “নজদ আমিরাত” ইতিহাসে দ্বিতীয় সৌদি রাজ্য নামে পরিচিত। দ্বিতীয় সৌদি রাজ্যটি অবশ্য খুব কম এলাকাই দখলে নিতে পেরেছিল। এটি বেশিদিন টিকেওনি। এই নজদ আমিরাতের প্রধানকে “ইমাম” বলা হত এবং ওয়াহাবী মতাবলম্বীরাই ধর্মীয় বিষয়ে কর্তৃত্বশীল ছিল।

তবে এবার সৌদ পরিবারে ক্ষমতার দ্বন্দ্ব শুরু হয়। কথিত ইমাম তুর্কি বিন আবদুল্লাহকে তাঁর এক জ্ঞাতি ভাই মুশারি বিন আবদুর রহমান বিদ্রোহ করে ১৮৩৪ সালে হত্যা করে। তবে ক্ষমতা পায়নি মুশারি। তুর্কির ছেলে ফয়সাল এরপর নজদ আমিরাতের ইমাম হয়।

সৌদ পরিবারের অন্তর্দ্বন্দ্ব চলতেই থাকে। অবশেষে ১৮৯১ সালে মুলায়দার যুদ্ধে উসমানিয়াদের অনুগত রাশিদী বাহিনীর হাতে দ্বিতীয় সৌদি আমিরাতের পতন ঘটে। সৌদিদের শেষ ইমাম আবদুর রহমান বিন ফয়সাল তার সাঙ্গোপাঙ্গসহ পালিয়ে যায়।
আবদুর রহমান বিন ফয়সাল
 
বিশাল বালুকাময় রুব আল খালি মরুভূমি পাড়ি দিয়ে আবদুর রহমান তার পুত্র আবদুল আজিজকে [একে মনে রাখুন – পরবর্তী গাদ্দার] নিয়ে দক্ষিণপূর্বে মুররা বেদুইন গোত্রে গিয়ে পালায়। সেখান থেকে তারা বাহরাইনের রাজপরিবারের কাছে গিয়ে কিছুদিন আশ্রয় নেয়। তার পর ১৮৯৩ সালে আবদুর রহমান ও তার পুত্র শেষ পর্যন্ত ব্রিটিশ দালাল কুয়েতি আল-সাবাহ রাজপরিবারের আশ্রয় পায়।

কুয়েতি রাজপরিবারের সহায়তায় সৌদিরা উসমানিয়া খিলাফতের কর্তৃত্বাধীন নজদে একের পর এক চোরাগুপ্তা হামলা চালাতে থাকে। ওয়াহাবী মতবাদের আলোকে পরিশুদ্ধ ইসলাম প্রতিষ্ঠার নামে উসমানিয়া খিলাফতের বিরুদ্ধে এসব হামলা চলতে থাকে। কিন্তু এসব হামলায় সৌদিরা তেমন কোনো বড় সাফল্য পায়নি। ১৯০১ সালে সারিফের যুদ্ধে পরাজয়ের ফলে আবদুর রহমান তার হারানো রাজ্য পুনরুদ্ধারের সব উদ্যম হারায়।

১৮৯৯ সালের জানুয়ারিতে কুয়েতের আমির মুবারক আল সাবাহ ব্রিটেনের সাথে একটি প্রতিরক্ষা চুক্তি করে কুয়েতকে ব্রিটেনের করদরাজ্য (Protectorate)-এ পরিণত করেন। তুরস্কের উসমানিয়া খিলাফতের প্রভাবের বিরুদ্ধেই কুয়েত এই চুক্তি করে ব্রিটেনের সাথে।

সৌদ পরিবারের লড়াইটিও ছিল উসমানিয়া খিলাফতের বিরুদ্ধেই। তাই ১৯০১ সালে সারিফের যুদ্ধে পরাজয়ের ফলে পিতা আবদুর রহমান হতোদ্যম হলেও পুত্র আবদুল আজিজ ইবনে সৌদ আবারও আশার আলো দেখে। আবদুল আজিজ ইবনে সৌদ ১৯০১ সালের শেষের দিকে কুয়েতের আমির মুবারকের কাছে উসমানিয়াদের নিয়ন্ত্রিত রিয়াদ আক্রমণের জন্য সাহায্য চায়। ব্রিটিশ মদদপুষ্ট কুয়েত সানন্দে ইবনে সৌদকে ঘোড়া ও অস্ত্র সরবরাহ করে।

আবদুল আজিজ ইবনে সৌদ – বর্তমান সৌদি আরবের প্রতিষ্ঠাতা
 
১৯০২ সালের ১৩ জানুয়ারি ইবনে সৌদ সৈন্যসহ রিয়াদের মাসমাক দুর্গ আক্রমণ করে। মাসমাকের উসমানিয়া অনুগত রাশিদী প্রশাসক ইবনে আজলানকে হত্যা করে সৌদিরা। ইবনে সৌদ যুদ্ধজয় শেষে ইবনে আজলানের ছিন্নমস্তকটি নিয়ে দুর্গশীর্ষে আসে এবং নিচে সমবেত উদ্বিগ্ন রিয়াদবাসীর দিকে ছুঁড়ে মারে।
আবদুল আজিজ ইবনে সৌদের রিয়াদ আমিরাত প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ইতিহাসে তৃতীয় সৌদি রাজ্যের সূচনা হয়।
এর পর সৌদিরা একে একে রাশিদীদের নজদের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে হটিয়ে দিতে থাকে। ১৯০৭ সালের মধ্যে সৌদিরা নজদের বিরাট এলাকা নিজেদের দখলে নিয়ে নেয়।
১৯০৯ সালে ব্রিটিশরা সামরিক অফিসার William Henry Irvine Shakespear-কে কুয়েতে নিয়োগ দিলে সৌদ পরিবার আরো শক্তিশালী হয়ে উঠে। শেক্সপিয়ারকে ইবনে সৌদ সামরিক উপদেষ্টা বানিয়ে নেয়।
William Henry Irvine Shakespear
১৯১৩ সালে সৌদিরা উসমানিয়া সৈন্যদের কাছ থেকে পূর্ব আরবের গুরুত্বপূর্ণ মরুদ্যান হাসা শহর দখল করে নেয়। এর পর পার্শ্ববর্তী কাতিফ শহরও সৌদিরা দখলে নেয়।
পরের বছর ১৯১৪ সালে বিশ্বজুড়ে ১ম বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়। ব্রিটেন-ফ্রান্স-রাশিয়ার মিত্রশক্তি জার্মানি-উসমানিয়া খিলাফতের বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত হয়। রিয়াদে ব্রিটিশরা শেক্সপিয়ারের মাধ্যমে সৌদিদের সাথে উসমানিয়া অনুগত রাশিদীদের যুদ্ধ লাগায়।
১৯১৫ সালের জানুয়ারিতে সংঘটিত এই যুদ্ধে রাশিদীরা জয়ী হয় ও শেক্সপিয়ারকে হত্যা করে। রাশিদীরা শেক্সপিয়ারের শিরশ্ছেদ করে ও তার হেলমেট উসমানিয়াদের কাছে হস্তান্তর করে। উসমানিয়ারা সৌদিদের সাথে ব্রিটিশদের সম্পর্কের প্রমাণস্বরূপ শেক্সপিয়ারের হেলমেট মদিনার প্রধান ফটকে ঝুলিয়ে দেখায়।
শেক্সপিয়ারকে হারিয়ে বিপর্যস্ত ইবনে সৌদ ১৯১৫ সালের ডিসেম্বরে ব্রিটিশদের সাথে দারিন চুক্তি স্বাক্ষর করে। ব্রিটিশদের পক্ষে ব্রিটেনের মধ্যপ্রাচ্য প্রধান মেজর জেনারেল স্যার পার্সি কক্স ওই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। চুক্তি মোতাবেক সৌদি রাজত্ব ব্রিটিশদের করদরাজ্য (Protectorate)-এ পরিণত হয়।
প্রথম বিশ্বযুদ্ধে ব্রিটেন-ফ্রান্স-রাশিয়ার মিত্রশক্তির বিরুদ্ধে জার্মান-উসমানিয়া খিলাফতের দুর্বল অবস্থা ও আল-সৌদ পরিবারের সাথে ব্রিটিশদের সখ্য দেখে চিন্তিত হয়ে ওঠেন মক্কার উসমানিয়া সমর্থিত শাসক হুসাইন বিন আলী।
হুসাইন বিন আলী
১৯১৫ সালের ১৪ জুলাই থেকে হুসাইন মিশরের ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত স্যার হেনরি ম্যাকম্যাহনের গোপনে পত্র যোগাযোগ শুরু করেন। ৩০ জানুয়ারি ১৯১৬ পর্যন্ত এই পত্র আদান-প্রদান চলতে থাকে। উসমানিয়া খিলাফতের অন্তর্ভুক্ত বিশাল আরব ভূ-খণ্ডের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে তারা মতবিনিময় করে।
ব্রিটেন ও ফ্রান্সের মদদে মক্কার শাসক সেই হুসাইন বিন আলী উসমানিয়াদের বিরুদ্ধে আরব বিদ্রোহ তৈরি করে। ব্রিটিশ সামরিক অফিসার টি.ই. লরেন্সের প্রত্যক্ষ পরিচালনায় বিশ্বাসঘাতক হুসাইন মিডল-ইস্টার্ন ফ্রন্টে উসমানিয়াদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে শুরু করলে বহু উসমানিয়া সৈন্য বন্দী হয় ও অবশেষে উসমানিয়ারা ১ম বিশ্বযুদ্ধে পরাজিত হয়।
ব্রিটিশ সামরিক অফিসার টি.ই. লরেন্স – আরববিশ্বে আরব জাতীয়তাবাদের স্রষ্টা – হলিউডের বিখ্যাত “Lawrence of Arabia” (১৯৬২) মুভিটি একে নিয়েই নির্মিত
১৩০০ বছর পর মধ্যপ্রাচ্য মুসলিম খিলাফতের হাতছাড়া হয়ে যায়।
পুরস্কার হিসেবে ব্রিটিশরা ১ম বিশ্বযুদ্ধের পর হুসাইন বিন আলীর দ্বিতীয় ছেলে আব্দুল্লাহকে জর্ডানের রাজত্ব ও তৃতীয় ছেলে ফয়সালকে ইরাকের রাজত্ব দেয়। হুসাইনকে রাখা হয় হেজাজ (পবিত্র মক্কা-মদিনা ও তাবুক অঞ্চল)-এর শাসক হিসেবে।

এভাবে ১ম বিশ্বযুদ্ধ আল-সৌদ পরিবারকে কিছুটা বেকায়দায় ফেলে। কেননা ব্রিটিশদের পা-চাটার ক্ষেত্রে তাদের প্রতিপক্ষ হুসাইন পরিবার এগিয়ে যায় এবং যুদ্ধ শেষে হুসাইন ও তার দুই ছেলে মিলে তিন দেশের রাজত্ব পায়। তবে নজদ (রিয়াদ ও তদসংলগ্ন অঞ্চল)-এর শাসক সৌদিরাই থেকে যায়।

দারিন চুক্তির আওতায় আবদুল আজিজ ইবনে সৌদ ব্রিটিশদের কাছ থেকে বহু অস্ত্র ও মাসে ৫,০০০ পাউন্ড ভাতা (দালালির পুরস্কার) পেতে থাকে।

তথ্যসূত্র: Abdullah Mohammad Sindi, “The Direct Instruments of Western Control over the Arabs: The Shining Example of the House of Saud”

যুদ্ধের পর ব্রিটিশরা ইবনে সৌদকে ১ম বিশ্বযুদ্ধের উদ্বৃত্ত বিপুল গোলাবারুদ দিয়ে দেয়। ওই ব্রিটিশ অস্ত্র ও গোলাবারুদের সম্ভার নিয়ে সৌদিরা ক্রমধ্বংসমান উসমানিয়া খিলাফতের অনুগত রাশিদীদের ওপর দক্ষিণ-পশ্চিম আরব অঞ্চলে আক্রমণ শুরু করে। ১৯২০ থেকে ১৯২২ সাল পর্যন্ত লড়ে রাশিদীরা শেষ পর্যন্ত সৌদিদের হাতে পুরোপুরি পরাজিত হয়। ফলে আরবে আল-সৌদ পরিবার নিয়ন্ত্রিত ভূ-খণ্ডের পরিমাণ দ্বিগুণ হয়ে ওঠে। ইরাকে নিযুক্ত ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত Percy Cox-এর মধ্যস্থতায় ১৯২২ সালের ২ ডিসেম্বর স্বাক্ষরিত Uqair Protocol-এর আওতায় ওই বিশাল অঞ্চলে সৌদি রাজত্ব স্বীকৃতি লাভ করে।

এ-সময় পর্যন্ত আবদুল আজিজ ইবনে সৌদ কখনোই ব্রিটিশ অনুগত হেজাজের শাসক হুসাইনের সাথে সংঘাতে জড়ায়নি।
১৯২৪ সালের ৩ মার্চ আরেক ব্রিটিশ দালাল মুস্তাফা কামাল পাশা তুরস্কে অফিসিয়ালি খিলাফত বিলুপ্ত করে। সারা বিশ্বের মুসলিমদের সাথে মক্কার হুসাইন বিন আলীও মহানবী (সা.) আমল থেকে ১৩০০ বছর পর্যন্ত চলমান মুসলিমদের রাষ্ট্র খিলাফতের পতনে ব্যথিত হন। পৃথিবী থেকে খিলাফত মুছে গেছে, এটা হুসাইনের চেতনায় আঘাত করে। ব্রিটিশদের ক্ষিপ্ত হওয়ার সম্ভাবনা সত্ত্বেও ৫ মার্চ হুসাইন নিজেকে মুসলিমদের খলিফা ঘোষণা করেন।
ব্যস, এ-সুযোগটিই কাজে লাগায় খিলাফতের দীর্ঘদিনের শত্রু আবদুল আজিজ ইবনে সৌদ। ব্রিটিশরা স্বাভাবিকভাবেই হুসাইনের নিজেকে খলিফা ঘোষণা করা মেনে নেয়নি এবং হেজাজের শাসক হিসেবে হুসাইনের ওপর থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করে নেয়।

আবদুল আজিজ ইবনে সৌদ কালবিলম্ব না করে হেজাজ আক্রমণ করে এবং ১৯২৫ সালের শেষ নাগাদ পুরো হেজাজ দখলে নিয়ে নেয়। ১৯২৬ সালের ৮ জানুয়ারি আবদুল আজিজ ইবনে সৌদ মক্কা-মদিনা-জেদ্দার গোত্রীয় নেতাদের সমর্থনে নিজেকে হেজাজের “সুলতান” ঘোষণা করে। ১৯২৭ সালের ২৭ জানুয়ারি ইবনে সৌদ আগের নজদ ও বর্তমান হেজাজ মিলিয়ে Kingdom of Nejd and Hejaz ঘোষণা করে। ৪ মাস পর সেই বছরের ২৭ মে জেদ্দা চুক্তির মাধ্যমে ব্রিটিশরা Kingdom of Nejd and Hejaz-কে স্বাধীন হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করে।

নতুন জেদ্দা চুক্তি, ১৯২৭-এর মাধ্যমে ব্রিটিশ-সৌদের “Protectorate” স্ট্যাটাসের দারিন চুক্তি, ১৯১৫-এর সমাপ্তি ঘটে।
পরবর্তী ৫ বছর আবদুল আজিজ ইবনে সৌদ তার দুই রাজত্বকে আলাদা রেখেই শাসন করে। অবশেষে ১৯৩২ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর ইবনে সৌদ তার দুই রাজত্বকে একত্রিত করে তার নিজের ও বংশের পদবি অনুসারে দেশের নাম “Kingdom of Saudi Arabia” (আরবি: المملكة العربية السعودية‎ al-Mamlakah al-‘Arabiyyah as-Su‘ūdiyyah) ঘোষণা করে।
এভাবেই ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদী শক্তির উসমানিয়া খিলাফতবিরোধী নীতির প্রকাশ্য সমর্থক হিসেবে, পদে পদে ব্রিটিশদের মদদ নিয়ে, দালাল আল-সৌদ পরিবার ১৯৩২ সাল থেকে Kingdom of Saudi Arabia নামে মুসলিমদের পবিত্র ভূমি দখলে রেখে শাসন করে যাচ্ছে।
                              ……………….      …………………          …………………
১. মিশরের মুরসি সরকারের পতনের পর সৌদি সরকারের ভূমিকায় মুসলিম উম্মাহর মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। এই দালাল রাজপরিবারের ইতিহাস তাই মুসলিম উম্মাহর জেনে রাখা প্রয়োজন। বিশেষত বাংলাদেশে যেসব গণতন্ত্রবাদী কথিত ইসলামপন্থী বাস্তবে সৌদি রাজপরিবারের গুণমুগ্ধ ও মার্কিন দূতাবাসে নিয়মিত হাজিরাদানকারী হয়েও মুরসি ও মুসলিম উম্মাহর ভক্ত সেজে ব্লগে-ফেসবুকে মায়াকান্না করেন, তাদের এই দালাল রাজপরিবারের গোড়ার কাহিনি জানা বেশি প্রয়োজন।
 ২. সৌদি রাজপরিবারের সমালোচনাকে ওয়াহাবী মতবাদের সমালোচনা হিসেবে ভেবে যারা ক্ষুব্ধ হন, তারা লক্ষ করুন – এই নোটে কোথাও ওয়াহাবী মতবাদের প্রশংসা/সমালোচনা করা হয়নি – এটা এখানে প্রাসঙ্গিকও নয়। এখানে স্রেফ বলা হয়েছে – সৌদ পরিবার মুসলিম উম্মাহর ঐক্যের প্রতীক উসমানিয়া খিলাফত ভাঙতে ওয়াহাবী মতবাদকে ব্যবহার করেছিল। আর সৌদ পরিবার জেনে-বুঝে দালালি করেছে তত্কালীন বিশ্বমোড়ল ও খিলাফতের শত্রু ব্রিটেনের।
 ৩. মাজারকেন্দ্রিক শিরকের চর্চা আর কবর জিয়ারত এক কথা নয়। মাজারকেন্দ্রিক শিরক পরিত্যাজ্য, কিন্তু কবর জিয়ারত একটি প্রতিষ্ঠিত সুন্নাহ।
 ৪. এই নোটে বহু বই থেকে তথ্য নেয়া হয়েছে – তবে তথ্যগুলো এতই ব্যাপকভাবে স্বীকৃত যে, কম-বেশি সব তথ্যই Wikipedia-য় আছে। এমন কি, সৌদি দূতাবাসের ওয়েব সাইটেও আছে [অবশ্যই ব্রিটিশদের দালালির বিষয়টি বাদ দিয়ে]: http://www.saudiembassy.net/about/country-information/history.aspx
৫. যারা সৌদি আরবের ইতিহাস সামগ্রিকভাবে একটি বই থেকেই জানতে চান, তারা Cambridge University Press থেকে ২০০২ সালে প্রকাশিত Madawi al-Rasheed-এর লেখা A History of Saudi Arabia বইটি পড়তে পারেন। আমি এই বই থেকে সাহায্য নিয়েছি।
৬. প্রফেসর ড. আবদুল্লাহ মুহাম্মদ সিন্দি রচিত ২২ পৃষ্ঠার নিবন্ধ/বুকলেট “The Direct Instruments of Western Control over the Arabs: The Shining Example of the House of Saud” এ-বিষয়ে একটি অনবদ্য রচনা। সময়ের অভাবে আমি এটা অনুবাদ করতে পারছি না। কেউ যদি অনুবাদ করে দেন, আমি চিরকৃতজ্ঞ থাকব।]
আরো পড়ুন:

১. সৌদিদের ভণ্ডামি: https://www.facebook.com/meghnawa/posts/218599681623127
২. Madawi al-Rasheed-এর লেখা A History of Saudi Arabia:
৩. প্রফেসর ড. আবদুল্লাহ মুহাম্মদ সিন্দি রচিত “The Direct Instruments of Western Control over the Arabs: The Shining Example of the House of Saud”:
পোস্টটি লিখেছেন: ব্লগার আসিফ রহমান