মাযহাব সংকলন কি চারশ হিজরীর পরে হয়েছে??
আমাদের কথিত আহলে হাদীস ভায়েরা মিথ্যা প্রোপাগান্ডা ও অপপ্রচার চালিয়ে বলে থাকে মাযহাবের সৃষ্টি হিজরী চতুর্থ শতাব্দী বা চারশত হিজরীতে।এক্ষেত্রে তারা শাহ ওয়ালিউল্লাহ মুহাদ্দিসে দেহলভী রহঃ এর একটি উদ্ধৃতি বিকৃত করে পেশ করে থাকে।অথচ মাযহাব সংকলিত হয়েছে প্রত্যেক ইমামের স্ব স্ব যুগেই।এ কারণেই মহামান্য ইমামগণ রহঃ বলে গেছেন اذا صح الحديث فهو مذهبي.ভেবে দেখুন তখন যদি উক্ত ইমামের মাযহাব সংকলনই না হবে তবে তিনি উক্ত কথা কেন বলবেন?আর প্রত্যেক ইমামেরই মৃত্যু চারশত হিজরীর পূর্বে হয়েছে।তাই মাযহাবের সংকলন যদি চারশত হিজরীর পরে হত তবে কি তারা কবর থেকে উঠে একথা বলে গেছেন?তদুপরি সেই যুগেও যে এসব মাযহাবের অনুসারী ছিল তাও ইতিহাস দ্বারা প্রমাণিত।হাদীস শাস্ত্রের একজন বিজ্ঞ ইমাম ইয়াহইয়া ইবনে মাঈন রহঃ (মৃত্যু২৩৩ হিজরী)বলেছেন:القرائة عندي قرائة حمزة.والفقه فقه ابي حنيفة.وعلى هذا ادركت الناس."আমার নিকট গ্রহণযোগ্য ক্বিরাআত হল হামযার ক্বিরাআত।এবং গ্রহণযোগ্য ফিকহ হল ইমাম আবু হানীফার ফিকহ।সকল মানুষকে আমি এর উপর ঐক্যবদ্ধ পেয়েছি।"(তারীখে বাগদাদ,১৩/৩৪৭)।
এখানে আমার প্রশ্ন মাযহাবের সংকলন যদি চারশত হিজরীর পরেই হবে তবে ২৩৩হিজরীতে মৃত্যুবরণকারী হাদীস শাস্ত্রের একজন উজ্জ্বল নক্ষত্র কোথায় পেলেন এই মাযহাব?দ্বিতীয়ত মাযহাব মানার প্রয়োজনই যদি না হবে তবে ইমাম বুখারীর রহঃ উস্তাদ এত বড় মুহাদ্দিস কেন মাযহাব মানলেন?আর ইয়াহইয়া ইবনে মাঈন রহঃ শীর্ষস্থানীয় হানাফী ছিলেন।একথা তিনি নিজেই স্বীকার করেছেন।এখন দেখুন ইমাম যাহাবী রহঃ তাঁর সম্পর্কে কী বলেন:-وكان يحى بن معين امام الجرح والتعديل من غلاة الحنفية."ইয়াহইয়া ইবনে মাঈন জারহ অ-তা'দীলের ইমাম এবং শীর্ষস্থানীয় হানাফীদের অন্তর্ভূক্ত ছিলেন।সুতরাং সাধু সাবধান!হানাফীদের প্রতি অঙ্গুলী প্রদর্শন করার পূর্বে নিজের মাকাম ও ইয়াহইয়া ইবনে মাঈনের মাকাম একটু যাচাই করে নিবেন।
এখন আসুন ওয়ালী উল্লাহ মুহাদ্দিসে দেহলভী কর্তৃক বর্ণিত চারশত হিজরী প্রসঙ্গে:-আমরা সকলেই জানি যে,মাযহাব অনেকগুলিই ছিল।কিন্তু এ চার মাযহাব ছাড়া অন্যান্য কোন মাযহাবই সুবিন্যস্ত গ্রন্থবদ্ধ ও সংরক্ষিত হয়নি।এমনকি তাঁদের কোন অনুসারী বা মুকাল্লিদের অস্তিত্বও বিদ্যমান ছিলনা।অপরদিকে আল্লাহর অশেষ মেহেরবানীতে এ চার মাযহাব সুবিন্যস্ত গ্রন্থবদ্ধ ও সংরক্ষিত আকারে বিদ্যমান থাকে।এবং সকল মুসলমান এ চার মাযহাবের অনুসারেই ব্রতী হন।তখন এ বিষয়টির উপর ইজমা হয়ে যায় যে,চার মাযহাব ছাড়া অন্য কোন মাযহাব মানা যাবে না।
উপরের সংক্ষিপ্ত আলোচনা দ্বার বোঝাগেল চার মাযহাব সংকলন হয়েছে স্ব স্ব ইমামগণের যুগেই।তবে এ চার মাযহাবের উপর সকল উম্মতের ইজমা হয়েছে চতুর্থ শতাব্দীতে।
এখন দেখুন আমাদের সহীহ হাদীসের অনুসারী দাবীদার ভায়েরা নিজেদের মত প্রতিষ্ঠা করতে কীভাবে ইতিহাস বিকৃত করে প্রচার করছে।শুধু তাই নয় নিজেদের দলকে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের যামানা থেকে প্রমাণিত করতে যেয়ে তারা আরো একধাপ এগিয়ে সরাসরি হাদীস পর্যন্ত জাল করেছে।(ইন্নালিল্লাহ)
সুতরাং এদের থেকে সাবধান!
আমাদের কথিত আহলে হাদীস ভায়েরা মিথ্যা প্রোপাগান্ডা ও অপপ্রচার চালিয়ে বলে থাকে মাযহাবের সৃষ্টি হিজরী চতুর্থ শতাব্দী বা চারশত হিজরীতে।এক্ষেত্রে তারা শাহ ওয়ালিউল্লাহ মুহাদ্দিসে দেহলভী রহঃ এর একটি উদ্ধৃতি বিকৃত করে পেশ করে থাকে।অথচ মাযহাব সংকলিত হয়েছে প্রত্যেক ইমামের স্ব স্ব যুগেই।এ কারণেই মহামান্য ইমামগণ রহঃ বলে গেছেন اذا صح الحديث فهو مذهبي.ভেবে দেখুন তখন যদি উক্ত ইমামের মাযহাব সংকলনই না হবে তবে তিনি উক্ত কথা কেন বলবেন?আর প্রত্যেক ইমামেরই মৃত্যু চারশত হিজরীর পূর্বে হয়েছে।তাই মাযহাবের সংকলন যদি চারশত হিজরীর পরে হত তবে কি তারা কবর থেকে উঠে একথা বলে গেছেন?তদুপরি সেই যুগেও যে এসব মাযহাবের অনুসারী ছিল তাও ইতিহাস দ্বারা প্রমাণিত।হাদীস শাস্ত্রের একজন বিজ্ঞ ইমাম ইয়াহইয়া ইবনে মাঈন রহঃ (মৃত্যু২৩৩ হিজরী)বলেছেন:القرائة عندي قرائة حمزة.والفقه فقه ابي حنيفة.وعلى هذا ادركت الناس."আমার নিকট গ্রহণযোগ্য ক্বিরাআত হল হামযার ক্বিরাআত।এবং গ্রহণযোগ্য ফিকহ হল ইমাম আবু হানীফার ফিকহ।সকল মানুষকে আমি এর উপর ঐক্যবদ্ধ পেয়েছি।"(তারীখে বাগদাদ,১৩/৩৪৭)।
এখানে আমার প্রশ্ন মাযহাবের সংকলন যদি চারশত হিজরীর পরেই হবে তবে ২৩৩হিজরীতে মৃত্যুবরণকারী হাদীস শাস্ত্রের একজন উজ্জ্বল নক্ষত্র কোথায় পেলেন এই মাযহাব?দ্বিতীয়ত মাযহাব মানার প্রয়োজনই যদি না হবে তবে ইমাম বুখারীর রহঃ উস্তাদ এত বড় মুহাদ্দিস কেন মাযহাব মানলেন?আর ইয়াহইয়া ইবনে মাঈন রহঃ শীর্ষস্থানীয় হানাফী ছিলেন।একথা তিনি নিজেই স্বীকার করেছেন।এখন দেখুন ইমাম যাহাবী রহঃ তাঁর সম্পর্কে কী বলেন:-وكان يحى بن معين امام الجرح والتعديل من غلاة الحنفية."ইয়াহইয়া ইবনে মাঈন জারহ অ-তা'দীলের ইমাম এবং শীর্ষস্থানীয় হানাফীদের অন্তর্ভূক্ত ছিলেন।সুতরাং সাধু সাবধান!হানাফীদের প্রতি অঙ্গুলী প্রদর্শন করার পূর্বে নিজের মাকাম ও ইয়াহইয়া ইবনে মাঈনের মাকাম একটু যাচাই করে নিবেন।
এখন আসুন ওয়ালী উল্লাহ মুহাদ্দিসে দেহলভী কর্তৃক বর্ণিত চারশত হিজরী প্রসঙ্গে:-আমরা সকলেই জানি যে,মাযহাব অনেকগুলিই ছিল।কিন্তু এ চার মাযহাব ছাড়া অন্যান্য কোন মাযহাবই সুবিন্যস্ত গ্রন্থবদ্ধ ও সংরক্ষিত হয়নি।এমনকি তাঁদের কোন অনুসারী বা মুকাল্লিদের অস্তিত্বও বিদ্যমান ছিলনা।অপরদিকে আল্লাহর অশেষ মেহেরবানীতে এ চার মাযহাব সুবিন্যস্ত গ্রন্থবদ্ধ ও সংরক্ষিত আকারে বিদ্যমান থাকে।এবং সকল মুসলমান এ চার মাযহাবের অনুসারেই ব্রতী হন।তখন এ বিষয়টির উপর ইজমা হয়ে যায় যে,চার মাযহাব ছাড়া অন্য কোন মাযহাব মানা যাবে না।
উপরের সংক্ষিপ্ত আলোচনা দ্বার বোঝাগেল চার মাযহাব সংকলন হয়েছে স্ব স্ব ইমামগণের যুগেই।তবে এ চার মাযহাবের উপর সকল উম্মতের ইজমা হয়েছে চতুর্থ শতাব্দীতে।
এখন দেখুন আমাদের সহীহ হাদীসের অনুসারী দাবীদার ভায়েরা নিজেদের মত প্রতিষ্ঠা করতে কীভাবে ইতিহাস বিকৃত করে প্রচার করছে।শুধু তাই নয় নিজেদের দলকে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের যামানা থেকে প্রমাণিত করতে যেয়ে তারা আরো একধাপ এগিয়ে সরাসরি হাদীস পর্যন্ত জাল করেছে।(ইন্নালিল্লাহ)
সুতরাং এদের থেকে সাবধান!
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন